মরক্কোর কাছে নাটকীয়ভাবে ২-১ গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা
মরক্কোর কাছে নাটকীয়ভাবে ২-১ গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা

প্যারিস অলিম্পিক

‘নিয়মের বরখেলাপ’ দাবি করে ফিফায় নালিশ আর্জেন্টিনার

অলিম্পিকে আর্জেন্টিনা ও মরক্কো ম্যাচের পর ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাল অলিম্পিক ফুটবলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মরক্কোর কাছে নাটকীয়ভাবে ২-১ গোলে হেরে যায় আর্জেন্টিনা।

শুধু নাটকীয় শব্দ দিয়ে আসলে পুরো পরিস্থিতি বোঝানো সম্ভব হচ্ছে না। গতকাল সেঁত এতিয়েনে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে মরক্কোর বিপক্ষে ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। এরপর যোগ করা সময়ের ১৬তম মিনিটে গোল করে আর্জেন্টিনাকে সমতায় ফেরান ক্রিস্তিয়ান মেদিনা। এই গোলের পর সবাই ধরে নিয়েছিল ম্যাচটা ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।

তবে আর্জেন্টিনার গোলের পরই দর্শকেরা মাঠে বোতল, প্লাস্টিকের কাপ ও অগ্নিশিখা ছুড়ে মারতে শুরু করেন। উচ্ছৃখল দর্শকেরা মাঠেও ঢুকে পড়েন। এ সময় হট্টগোল বেধে গেলে ম্যাচ স্থগিত করেন সুইডিশ রেফারি গ্লেন নাইবার্গ। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর রেফারি নাইবার্গ খেলোয়াড়দের আবারও মাঠে ডেকে পাঠান।

খেলোয়াড়েরা মাঠে নামতেই আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি ভিএআর যাচাইয়ের পর অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয়। এরপর আরও ৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ড খেলা চললেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি আর্জেন্টিনা। মাঠ ছাড়তে হয় ২-১ গোলের হার নিয়ে।

এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ তাপিয়া এক্সে লিখেছেন, ‘সেঁত এতিয়েনে আর্জেন্টাইনরা যে অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেল, সেটা আক্ষেপের বিষয়। দুই ঘণ্টা লকার রুমে অপেক্ষা করে ফুটবলারদের মাঠে যাওয়া, অনুশীলন করে আবার এমন একটা ম্যাচ শুরু করা, যেটি মরক্কো–সমর্থকদের মাঠে ঢোকার কারণে রেফারির খেলা স্থগিত করা উচিত ছিল। সহিংসতার কারণে আর্জেন্টাইন প্রতিনিধিরা ভুগেছে, এর কোনো মানেই হয় না। এটা টুর্নামেন্টের নিয়মের বরখেলাপ।’

দর্শকেরা মাঠে প্রবেশ করলে ম্যাচ স্থগিত করা হয়

তাপিয়া আরও লেখেন, ‘দুই দলের অধিনায়ক চেয়েছিল ম্যাচটা যাতে আর মাঠে না গড়ায়। কিন্তু তাদের মতামত শোনা হয়নি। আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা এরই মধ্যে ফিফা ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছি, যেন যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়, যারা দায়ী তাদের যেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।’

এ ঘটনায় আর্জেন্টিনার কোচ মাচেরানোও আয়োজকদের ধুয়ে দিয়েছেন, ‘এমন ঘটনা পাড়ার টুর্নামেন্টেও ঘটে না। এটা লজ্জার এবং অলিম্পিকের চেতনাবিরোধী। এই সংস্থাকে মানসম্মত হতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই মুহূর্তে তারা সেটি হতে পারেনি। আমার জীবনে দেখা এটাই সবচেয়ে বড় সার্কাস।’