আগামী ২১ জুন ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুরু হতে যাওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অতিথি দল হিসেবে খেলবে কুয়েত। তবে দ্বিতীয় অতিথি দল কারা হবে, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। সিরিয়া বা ফিলিফাইনের যেকোনো একটি দলের খেলার সম্ভাবনা আছে। আমন্ত্রিত দলগুলোর সিদ্ধান্ত জানানোর শেষ দিন আজই।
এ প্রসঙ্গে সাফের অন্যতম শীর্ষ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজ প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘কুয়েত আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে। আগামী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তারা খেলবে। আরেকটি দলের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। সিরিয়া তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে আজকের দিনটি চেয়েছে। ফিলিপাইনেরও সম্ভাবনা আছে সাফে খেলার।’
সাফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে থেকে শক্তিশালী দল নেওয়ার অনুরোধ করেছিল ভারত। সে অনুযায়ী বেশ কয়েকটি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া আগেই জানিয়ে দিয়েছে খেলা থাকায় তারা ওই সময় সাফে খেলবে না। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সিঙ্গাপুর, বাহরাইন, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, ফিলিপাইন, সিরিয়াকে। যার মধ্যে কুয়েতের সাড়া পাওয়ায় এখন পর্যন্ত এবারের সাফে দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৭।
তবে ভারতের প্রস্তাব ছিল ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকা দল নিতে। সেটা অবশ্য সম্ভব হচ্ছে না। ভারতের ফিফা র্যাঙ্কিং যেখানে ১০১, কুয়েতের ১৪৩। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দল হিসেবে কুয়েত একসময় এশিয়ার অন্যতম সেরা ছিল। ১৯৮২ সালে বিশ্বকাপও খেলেছে তারা। সেদিক থেকে কুয়েতের উপস্থিতি সাফের মর্যাদা বাড়াবে।
এর আগে আফগানিস্তান সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটি আসরে খেলেছে। ২০১৫ সালে কেরালা সাফে খেলার পর দলটি সাফ থেকে বেরিয়ে যায়।
দক্ষিণ এশিয়ার সাত দেশের মধ্যে ফিফার নিষোধাজ্ঞায় থাকায় শ্রীলঙ্কা এবার খেলছে না সাফে। বাকি ছয় দেশ বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, ভুটানের সঙ্গে বাইরের দুটি দল যোগ করে আট দল দিয়ে সাফ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে সাফ।