এমবাপ্পে এখন পিএসজির সর্বোচ্চ গোলদাতা
এমবাপ্পে এখন পিএসজির সর্বোচ্চ গোলদাতা

ব্যালন ডি’অর জয়ের ভাবনা এমবাপ্পের ‘মাথার এক কোনায় আছে’

সবে ২৪–এ পা দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু এর মধ্যেই নিজের নামের পাশে যোগ করেছেন অসংখ্য কীর্তি। গতকাল রাতেও তেমনই এক অর্জন যুক্ত হয়েছে এমবাপ্পের মুকুটে। পিএসজির হয়ে সবচেয়ে বেশি ২০১ গোলের মালিক এখন তিনি।

মাইলফলকে পৌঁছানোর পর বিশেষ ট্রফি দিয়ে এমবাপ্পেকে সম্মানিত করেছে পিএসজি। এ সময় নিজের পরবর্তী লক্ষ্য, দলের লক্ষ্য, ব্যালন ডি’অরের স্বপ্ন ও চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন এই ফরাসি তারকা।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই রেকর্ড ভাঙা–গড়ার খেলায় মেতেছেন এমবাপ্পে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ পুরস্কারের ট্রফিটা তাঁর অধরাই থেকে গেছে।

খুদে ভক্তদের সঙ্গে বিশেষ ট্রফি হাতে এমবাপ্পে

ব্যালন ডি’অর জেতা নিয়ে কী ভাবছেন, জানতে চাইলে এমবাপ্পে বলেছেন, ‘অবশ্যই, ব্যালন ডি’অর এখনো আমার লক্ষ্য। আমার ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের জন্য এটা এমন কিছু, যা আমার দৃষ্টিসীমার মধ্যেই আছে। তবে এটা এই মুহূর্তে আমার অগ্রাধিকার নয়। এটা আমার মাথার এক কোনায় আছে। যা স্বাভাবিক।’

লিলের বিপক্ষে ৪–৩ ব্যবধানে জেতা ম্যাচে জোড়া  গোল করেছিলেন এমবাপ্পে। এরপর অলিম্পিক মার্শেইয়ের বিপক্ষেও পেয়েছিলেন জোড়া গোল। আর গতকাল নঁতের বিপক্ষে গোল করে ছুঁলেন মাইলফলক।

তবে নিজের অর্জনের চেয়ে দলকে সহায়তা করতে পেরে আনন্দিত এমবাপ্পে। পাশাপাশি বায়ার্নের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচকে পাখির চোখ করার কথাও জানিয়েছেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড, ‘এটা আমার জন্য এবং দলের জন্য ভালো মুহূর্ত। ভালো ব্যাপার হচ্ছে, বায়ার্নের বিপক্ষে হারের পর আমরা টানা তিন ম্যাচ জিতেছি। আমি আনন্দিত। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। আমরা এখন মিউনিখে বুধবার যে চ্যালেঞ্জটি অপেক্ষা করছে, সেটি নিতে প্রস্তুত।’

নঁতের বিপক্ষে কাল যোগ করা সময়ে গোল করেছেন এমবাপ্পে

এ সময় পিএসজিতে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলতে হয়েছে এমবাপ্পেকে। বুধবার বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচের ফল ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলবে কি না, জানতে চাইলে বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমি এখানে সুখে আছি। এই মুহূর্তে পিএসজির সঙ্গে আনন্দময় দিন উপভোগ করা ছাড়া আর কিছু ভাবছি না।’