নটিংহাম ফরেস্টের কাছে হারের পর হতাশ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরা
নটিংহাম ফরেস্টের কাছে হারের পর হতাশ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরা

৯৩ বছর পর আবার এমন হাল ম্যান ইউনাইটেডের

২ থেকে ৩১ ডিসেম্বর—এই সময়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ম্যাচ খেলেছে ৮টি। এর মধ্যে ৫টিতেই হার। বাকি ৩ ম্যাচের ২টিতে জিতেছে এরিক টেন হাগের দল, ১টি করেছে ড্র। এমন ডিসেম্বর এর আগে খুব বেশি দেখেনি দলটির সমর্থকেরা। কাল নটিংহাম ফরেস্টের মাঠে ২-১ গোলের হারটি ৯৩ বছর পর লিগে সবচেয়ে বাজেভাবে মৌসুম শুরুর তেতো স্বাদ উপহার দিয়েছে ইউনাইটেডকে। এর আগে লিগে ইউনাইটেডের এত বাজে মৌসুম শুরুর ঘটনাটি ছিল ১৯৩০ সালে।

গতকাল রাতের হারের পর ২০ ম্যাচে ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৩১। তালিকার সপ্তম স্থানে আছে তারা। চতুর্থ স্থানে থাকা আর্সেনালের চেয়ে ৯ পয়েন্ট পিছিয়ে টেন হাগের দল। ফরেস্টের মাঠে ৬৪ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার ১৪ মিনিট পর মার্কাস রাশফোর্ডের গোলে সমতায় ফিরেছিল ইউনাইটেড। তবে ৮২ মিনিটে আবার পিছিয়ে পড়ে তারা। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বশেষ ৬ ম্যাচে ইউনাইটেডের এটা চতুর্থ হার।

নটিংহাম ফরেটেস্টর বিপক্ষে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি ইউনাইটেডের খেলোয়াড়েরা

এই হারকে ম্যাচ শেষে ‘অবান্তর’ বলে উল্লেখ করেছেন ইউনাইটেডের কোচ টেন হাগ, ‘এটা হতাশার। হারটি অবান্তর। আমরা প্রথমার্ধেই হেরে গেছি। আমরা যথেষ্ট শক্তি ব্যয় করিনি। প্রথমার্ধে আমাদের আরও কিছু দেওয়া উচিত ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা একটু ভালো খেলেছি। আমরা জানি এই ফল আমাদের মানের সঙ্গে মানানসই নয়। খেলোয়াড়েরা এই ফলে খুশি নয়। তবে আমাদের আরও ভালো খেলা উচিত ছিল।’

তা ইউনাইটেড যে কারণেই হারুক, ১৯৮৯-৯০ মৌসুমের পর এই প্রথম তারা লিগের প্রথম ২০ ম্যাচের ৯টিতে হেরেছে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ মৌসুমে তারা ১৪টি ম্যাচ হেরেছে। নতুন বছরে যাওয়ার আগে এর চেয়ে বেশি ম্যাচ তারা হেরেছিল ১৯৩০-৩১ মৌসুমে। এ বছর সব মিলিয়ে ২১টি ম্যাচ হেরেছে ইউনাইটেড। নিজেদের ইতিহাসে এক বছরে এর চেয়ে বেশি ম্যাচ এর আগে তিনবারই হেরেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

দলের খেলায় সন্তুষ্ট নন ইউনাইটেডের কোচ এরিক টেন হাগ

এ অবস্থার জন্য কোচ টেন হাগ অবশ্য চোটের থাবাকেই দুষছেন, ‘চোট আছে। অন্য সমস্যাও আছে। তবে চোটই মূলত আমাদের পেছনে টেনে ধরেছে। জানুয়ারি আমাদের অনেক খেলোয়াড় ফিরবে। তাই আমাদের খেলার মান আরও বাড়বে।’

টেন হাগ ইউনাইটেডের এই অবস্থার জন্য চোটকে দুষলেও দলটির সাবেক খেলোয়াড়েরা এর দায় দিচ্ছেন কোচকেই। ইউনাইটেডের কিংবদন্তি ডিফেন্ডার গ্যারি নেভিল বলেছেন, ‘আমার সন্দেহ নেই যে তারা (ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ) মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই (টেন হাগের ব্যাপারে) একটা সিদ্ধান্ত নেবে। মৌসুমের শেষ পর্যন্ত টেন হাগকে যদি তারা রাখে আর পরিস্থিতি এ রকমই থাকে, তাহলে সে সত্যিকার অর্থেই চাপে পড়ে যাবে।’