ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন
ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন

গুগলে মৃত্যুর খোঁজখবর করেছিলেন রিচার্লিসন

আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিলের স্কোয়াডে থাকলেও শেষ পর্যন্ত খেলা হয়নি ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রিচার্লিসনের। দুই ম্যাচেই বেঞ্চে বসে দলের পারফরম্যান্স উপভোগ করেছেন এই টটেনহাম তারকা।

মাঠে নেমে খেলা না হলেও মাঠের বাইরে চমকে ওঠার মতো এক সাক্ষৎকার দিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। যেখানে ২০২২ বিশ্বকাপের পর হতাশায় মুষড়ে পড়ার কথা জানান রিচার্লিসন। এমনকি সে সময় মৃত্যু নিয়ে বাজে ভাবনায় ডুবে যাওয়ার কথাও বলেছেন এ ব্রাজিলিয়ান।

২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে শেষ আট থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিল। সেমিতে ওঠার ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় তারা। বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর মানসিক অবস্থা কেমন হয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করে রিচার্লিসন বলেছেন, ‘আমি তখন কেবলই নিজের সেরা অবস্থায় বিশ্বকাপ শেষ করেছি। আমার মনে হচ্ছিল, আমি নিজের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি। আমি জানি না কেন, আমি নিজেকে মেরে ফেলতে চেয়েছি বলছি না, কিন্তু হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম এবং আমি হাল ছেড়ে দিতে চাচ্ছিলাম। এমনকি আমাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী ভাবা হলেও বিশ্বকাপের পর মনে হচ্ছিল, সব ভেঙে পড়েছে।’

মনোবিদের সাহায্য নিয়ে কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করে রিচার্লিসন বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, থেরাপিস্টই আমার জীবন বাঁচিয়েছেন। আমি তখন শুধুই বাজে ব্যাপারগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম। এমনকি গুগলেও আমি সেই আজেবাজে বিষয়গুলো খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম। আমি শুধু মৃত্যু নিয়ে আজেবাজে বিষয়গুলো খুঁজতাম।’

বিশ্বকাপে বাইসাইকেল কিকে দারুণ এক গোল করেন রিচার্লিসন

মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষদের মনোবিদের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রিচার্লিসন, ‘আজ আমি বলতে চাই, আপনার যদি মনোবিদের প্রয়োজন হয়, তবে তাঁর কাছে যান। কারণ, এভাবে নিজেকে মেলে ধরাটা ভালো। ফুটবল ও ফুটবলের বাইরের দুনিয়ার সামনে বিষয়টি নিয়ে আসায় আজ একজন থেরাপিস্ট আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। কারণ, আমরা পছন্দ করি বা না করি, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা জীবন বাঁচিয়ে দেয়।’

মনোচিকিৎসার বিষয়ে নিজের ধারণা বদলে যাওয়া নিয়ে এ টটেনহাম তারকা আরও বলেন, ‘আগে আমার বিষয়টা নিয়ে কুসংস্কার ছিল, ভাবতাম এগুলো বোকামি। আমার পরিবারেও এমন অনেকে আছেন, যারা মনে করেন, মনোবিদের কাছে যাওয়া মানে পাগলামি। কিন্তু আমি আবিষ্কার করি, এটা দারুণ ব্যাপার। সত্যি বলছি, এটা আমার জীবনে সবচেয়ে সেরা আবিষ্কার।