ব্রামল লেনে গতকাল তিনি ডাগআউটে ছিলেন না। পিঠের অস্ত্রোপচার করিয়ে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আপাতত পেপ গার্দিওলা আছেন বার্সেলোনায়। সেখান থেকেই টিভিতে দেখেছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে তাঁর দল ম্যানচেস্টার সিটির দারুণ এক জয়। শেফিল্ডের মাঠে গতকাল ২-১ গোলের ওই জয়ে সিটি উঠে গেছে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। লিগে এই মৌসুমে এখনো পর্যন্ত শতভাগ জয়ের রেকর্ড শুধু সিটির।
একই সঙ্গে ওই জয়ে আরও একটা মাইলফলক ছুঁয়েছেন ইউরোপ ও ইংল্যান্ডের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলটির এই স্প্যানিশ কোচ। এটা প্রিমিয়ার লিগে গার্দিওলার ২০০তম জয়। জয়ের এই ডাবল সেঞ্চুরির জন্য পেপ গার্দিওলার দলকে খেলতে হয়েছে মাত্র ২৬৯ ম্যাচ। এটাও প্রিমিয়ার লিগের নতুন রেকর্ড। তাঁর চেয়ে দ্রুত প্রিমিয়ার লিগে ২০০ জয় পাননি অন্য কোনো কোচ।
সত্যি বলতে, রেকর্ডটা এখন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছেন পেপ গার্দিওলা। প্রিমিয়ার লিগে এর আগে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ২০০ জয়ের রেকর্ড ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি স্কটিশ কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের। তাঁর লেগেছিল ৩২২ ম্যাচ। গার্দিওলার লেগেছে ফার্গুসনের চেয়ে ৫৩ ম্যাচ কম! এই দুজনের পরেই আছেন জোসে মরিনিও। চেলসি, ইউনাইটেড ও টটেনহামের সাবেক কোচের ২০০ জয় পেতে লেগেছিল ৩২৬ ম্যাচ। গার্দিওলা কতটা এগিয়ে বাকিদের চেয়ে, এ পরিসংখ্যানেই তা স্পষ্ট।
২০১৬-১৭ মৌসুমের শুরু থেকে ম্যানচেস্টার সিটির দায়িত্ব নেওয়া গার্দিওলা এই সাত বছরে সিটিকে জিতিয়েছেন পাঁচটি প্রিমিয়ার লিগ ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ–সহ ১৫টি ট্রফি। গত মৌসুমে ইংল্যান্ডের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে ইউরোপিয়ান ট্রেবল জিতেছে তাঁর দল। শুধু অসাধারণ এসব অর্জনই নয়, সিটির হয়ে একের পর এক রেকর্ডও গড়ে চলেছেন গার্দিওলা।
প্রিমিয়ার লিগে তাঁর অধীনে এখনো পর্যন্ত যে ২৬৯টি ম্যাচ খেলেছে সিটি, সেখান থেকে পেয়েছে মোট ৬৩৪ পয়েন্ট। এটাও রেকর্ড, একই সময়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিভারপুল পেয়েছে সিটির চেয়ে ৫৫ পয়েন্ট কম। গার্দিওলার অধীনে লিগে যে ৬৯টি ম্যাচে জয় পায়নি সিটি, তার মধ্যে ড্র করেছে ৩৪টি, হেরেছে ৩৫টি। সব মিলিয়ে এই ২৬৯ ম্যাচে সিটি করেছে ৬৬৫ গোল, খেয়েছে মাত্র ২১৬টি। গোল ব্যবধান +৪৪৯। এটাও যে অন্য যেকোনো দলের চেয়ে ঢের বেশি, তা বোধ হয় বলে না দিলেও চলছে।