চলে গেলেন ফুটবলে ক্রোয়েশিয়ার উত্থানের নৈপথ্য নায়ক মিরোস্লাভ ব্লাজেভিচ
চলে গেলেন ফুটবলে ক্রোয়েশিয়ার উত্থানের নৈপথ্য নায়ক মিরোস্লাভ ব্লাজেভিচ

চলে গেলেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ক্রোয়াট–রূপকথার নেপথ্য নায়ক

মারা গেছেন ক্রোয়েশিয়ার কিংবদন্তি কোচ মিরোস্লাভ ব্লাজেভিচ। তাঁর হাত ধরেই ফুটবল মঞ্চে প্রথম চমক হিসেবে হাজির হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া তৃতীয় হয়েছিল। সেই রূপকথার নেপথ্য নায়ক ছিলেন ব্লাজেভিচ। ৮৭ বছর বয়সী এই কোচের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ক্রোয়াট ফুটবল ফেডারেশন। লম্বা সময় ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে জাগরেবের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ব্লাজেভিচ।

ফুটবল বিশ্বের শক্তিশালী দলগুলোর একটি ক্রোয়েশিয়া ৯০ দশকের শুরুতেও ছিল অপরিচিত এক নাম। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তো দেশটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করেনি। যুগোস্লাভিয়া ভেঙে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পর দ্রুত ফুটবল অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করে ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় চমকটা উপহার দিয়েছিল ক্রোয়াটরা।

দুর্দান্ত খেলে সেবার সেমিফাইনালে উঠে শেষ পর্যন্ত তৃতীয় হয় দেশটি। ২০১৮ বিশ্বকাপে লুকা মদরিচ-ইভান রাকিতিচদের হাত ধরে ফাইনাল খেলার আগপর্যন্ত সেটিই ছিল ক্রোয়েশিয়ার সেরা সাফল্য।

নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে সাফল্য লাভের পথে ডেভর সুকার যদি হন মাঠের নায়ক, মাঠের বাইরের নায়ক ছিলেন এই ব্লাজেভিচ। ১৯৯৪ সালে দায়িত্ব নিয়ে দলটিকে গড়ে তুলেছিলেন এই কোচ। ২০০০ সাল পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন ব্লাজেভিচ।

১৯৯৮ বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ জয়ের পর ব্লাজেভিচ

ব্লাজেভিচের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ জানিয়ে ক্রোয়েশিয়া ফুটবল ফেডারেশন এক টুইট বার্তায় লিখেছে, ‘গোটা ফুটবল পরিবার আজ কোচদের কোচকে হারাল।’ ১৯৩৫ সালের ১০ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন ব্লাজেভিচ।

বসনিয়ান ক্লাব থ্রাভনিকের হয়ে ফুটবলের পথে যাত্রা শুরু করেন এই কোচ। এরপর দিনামো জাগরেবের হয়ে মূল দলে অভিষেক হয় তাঁর। ১৯৬৬ সালে মাঠের ফুটবল ছেড়ে দিয়ে শুরু করেন কোচিং। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ২৫টির বেশি ক্লাবকে কোচিং করিয়েছেন ব্লাজেভিচ।