ইস্তাম্বুলে ১০ জুন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান
ইস্তাম্বুলে ১০ জুন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে কারা কত টিকিট পাবে, দামই–বা কত

তুরস্কের বৃহত্তম শহরে এর আগে একবারই উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল হয়েছিল, ২০০৫ সালে। সালটা উল্লেখ করতেই নিশ্চয় শহরের নামও ধরে ফেলেছেন—ইস্তাম্বুল। এসি মিলানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর অদম্য গল্প লিখে লিভারপুলের শিরোপা জয়ের ঘটনা এখানেই। যা ‘মিরাকল অব ইস্তাম্বুল’ নামে ফুটবল ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে।

১৮ বছর পর সেই ইস্তাম্বুলে আরেকটি ফাইনাল। এবারও অলৌকিক কিছু হবে কি না, সেটা ১০ জুন রাতেই জানা যাবে। তবে একটা কাকতাল তো এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে। ২০০৫ সালের ২৫ মে আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল একটি ইংলিশ (লিভারপুল) ও একটি ইতালিয়ান (এসি মিলান) ক্লাব। একই ভেন্যুতে এবারও ইংলিশ-ইতালিয়ান ক্লাবের লড়াই; ম্যানচেস্টার সিটি আর ইন্টার মিলান

২০০৫ ফাইনাল দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ৬৯ হাজার দর্শকের। এবার সেটা কিছুটা বেড়েছে। সিটি-ইন্টার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ কতজন দেখতে পারবেন, কারা টিকিট পাবেন, একেকটি টিকিটের দামই কত, জেনে নেওয়া যাক।

ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়াম। এখানেই হবে ফাইনাল।

মোট কত টিকিট ছাড়া হবে

ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৭৫ হাজার। তবে উয়েফা সব মিলিয়ে ৭২ হাজার টিকিট ছাড়বে।

কারা টিকিট পাবে

উয়েফা, ফাইনালে ওঠা দুই দল ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান, বিভিন্ন দেশের ফুটবল ফেডারেশন, স্থানীয় আয়োজক ও বাসিন্দা, লটারির মাধ্যমে সাধারণ ফুটবলপ্রেমী, পৃষ্ঠপোষক, বাণিজ্যিক অংশীদার ও সম্প্রচারকারী চ্যানেল।

কারা কত টিকিট পাবে

দুই ফাইনালিস্ট ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান সমান ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টিকিট পাবে। এই টিকিট ক্লাব দুটি যে কাউকে দিতে পারবে বা কারও কাছে বিক্রি করতে পারবে। সাধারণত ক্লাব সমর্থকেরাই অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। তবে সিটি ও ইন্টার বরাদ্দকৃত টিকিট কোন প্রক্রিয়ায় বণ্টন করবে, সে ব্যাপারে এখনো কিছু জানায়নি উয়েফা।

সিটি ও ইন্টার মিলিয়ে ৪০ হাজার টিকিট পেলে বাকি থাকবে ৩২ হাজার। এর মধ্যে ৭ হাজার ৫০০ টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে। উয়েফার ওয়েবসাইটে গিয়ে ফাইনালের টিকিটের জন্য নিবন্ধন ও আবেদন করতে হবে। লটারিতে জয়ীরা পাবেন ফাইনালের টিকিট।

বাকি ২৪ হাজার ৫০০ টিকিট থাকবে সংরক্ষিত। এই টিকিট পাবে উয়েফা, জাতীয় ফুটবল ফেডারেশন, স্থানীয় আয়োজক ও বাসিন্দা, পৃষ্ঠপোষক, বাণিজ্যিক অংশীদার ও সম্প্রচারকারী চ্যানেল।

ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য অ্যাথলেটিক জানিয়েছে, ফাইনালে ওঠা দুই দলের সমর্থকেরা অতীতে আরও বেশি টিকিট পেয়ে এসেছেন। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের পৃষ্ঠপোষকদের সন্তুষ্ট রাখতে উয়েফাকে অনেক টিকিট তাদের দিতে হয়।

আসনবিন্যাস অনুযায়ী চার ক্যাটাগরির টিকিট ছেড়েছে উয়েফা

টিকিটের দাম কত

উয়েফার ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ফাইনালের জন্য সংস্থাটি চার ক্যাটাগরির টিকিট ছেড়েছে। সবচেয়ে কম দামি একেকটি টিকিটের মূল্য ৭০ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ১০৪ টাকা।

দ্বিতীয় ক্যাটাগরির টিকিটের দাম প্রথম ক্যাটাগরির দ্বিগুণের বেশি, একেকটি ১৮০ ইউরো বা ২০ হাজার ৮৪০ টাকা। তৃতীয় ক্যাটাগরির টিকিট পেতে হলে গুনতে হবে ৪৯০ ইউরো বা ৫৬ হাজার ৭৩০ টাকা। আর সবচেয়ে দামি চতুর্থ ক্যাটাগরির টিকিটের মূল্য ৬৯০ ইউরো বা ৭৯ হাজার ৮৮৫ টাকা।

প্রতিবন্ধীদের জন্যও থাকছে খেলা দেখার ব্যবস্থা। প্রতিবন্ধীরা ৭০ ইউরো বা ৮ হাজার ১০৪ টাকায় টিকিট কিনতে পারবেন। সঙ্গে একজন সহযোগীকেও নিয়ে যেতে পারবেন।