২০২৪ ইউরোয় ফেবারিটদের মধ্যে অন্যতম ধরা হচ্ছিল ইংল্যান্ডকে। ইংলিশদের স্কোয়াডও বলছিল সে কথা। মিডফিল্ড ও আক্রমণ ভাগে বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকাদের উপস্থিতি, রক্ষণেও আছেন ক্লাব ফুটবলের পরীক্ষিত তারকারা। এমন দলকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখাই যায়। কিন্তু ইউরো শুরুর আগমুহূর্তে ইংলিশ সমর্থকদের সেই স্বপ্ন বড় ধাক্কা খেল।
ইউরোর প্রস্তুতিতে আইসল্যান্ডের কাছে প্রীতি ম্যাচে হেরে গেছে ইংল্যান্ড। ওয়েম্বলিতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের হার ১–০ গোলে। ইংল্যান্ডের হারের রাতে ইউরোর প্রস্তুতিটা স্বস্তির জয় দিয়ে শেষ করেছে জার্মানি। গ্রিসের বিপক্ষে ইউরোর আয়োজকেরা জিতেছে ২–১ গোলে।
২০১৬ সালের ইউরোতে জার্মানিকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল আইসল্যান্ড। আরেকটি ইউরো শুরুর আগে একই দলের কাছে ফের ধাক্কা খেল ইংলিশরা। ম্যাচের ১২ মিনিটে রক্ষণের ভুলে ম্যাচের একমাত্র গোলটি হজম করে ইংল্যান্ড। আইসল্যান্ডের হয়ে গোল করেন জন ডাগুর থর্সটেইনসন।
শুরুতে গোল হজম করে ম্যাচের বাকি সময়ে গোল আদায়ের জন্য চেষ্টা করে গেছে ইংলিশরা। ৬৮ শতাংশ বলের দখলও রাখে তারা, কিন্তু ১টির বেশি শট লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। অন্য দিকে ইংল্যান্ডের চেয়ে বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও ৪টি শট লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় আইসল্যান্ড।
এদিন সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনও। ম্যাচে দারুণ খেলা কোল পালমারের সামনেও এসেছিল সুযোগ। তিনিও অবশ্য পাননি গোলের দেখা। ১৬ জুন সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইউরো অভিযান শুরু করবে ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে তাদের পরের দুটি ম্যাচ ২০ জুন ডেনমার্ক ও ২৬ জুন স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে।
অন্য দিকে সাম্প্রতিক ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে জার্মানি। ইউরোর স্বাগতিকেরা শেষ মুহূর্তের গোলে গ্রিসের বিপক্ষে স্বস্তির এক জয় পেয়েছে। বরুসিয়া পার্কে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে জার্মানি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় ইউলিয়ান নাগলসমানের দল।
৫৫ মিনিটে কাই হাভার্টজের গোলে সমতায় ফেরে তারা। আর ম্যাচের শেষ দিকে ৮৯ মিনিটে দলকে জয়সূচক গোল এনে দেন প্যাসকেল গ্রোব। ইংল্যান্ডের মতো জার্মানিও এদিন সুযোগ তৈরিতে পিছিয়ে ছিল। গ্রিস এদিন ১৪টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রাখে, বিপরীতে জার্মানি ১২ শটের লক্ষ্যে রাখে ৫টি। ১৪ জুন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইউরো অভিযান শুরু করবে জার্মানি। গ্রুপ পর্বে তারা পরের ম্যাচ খেলবে ১৯ জুন হাঙ্গেরির বিপক্ষে, আর শেষ ম্যাচ ২৪ জুন হাঙ্গেরির বিপক্ষে।