ছয় মাস আগেও ফ্রান্সের হয়ে খেলার স্বপ্ন ছিল তাঁর। কিন্তু ফরাসি ফুটবলে এখন খেলোয়াড়ের জোগান এত বেশি যে শিগগিরই ডাক পাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছেন না এবং আশ্বস্ত হতে পারছেন না ভবিষ্যতের ব্যাপারেও। শেষ পর্যন্ত তাই স্পেনের নাগরিকত্ব নিয়ে নিলেন রবিন লা নরম্যান্ড। এখন থেকে স্পেনের হয়ে খেলতে পারবেন এই সেন্টার ব্যাক।
আজ নরম্যান্ডকে স্পেনের নাগরিকত্ব প্রদান বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্পেন সরকার।
নরম্যান্ডের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ফ্রান্সে। ক্যারিয়ারের শুরুটাও সেখানেই। ২০১৩ সালে ফরাসি ক্লাব ব্রেস টুতে যোগ দিয়ে ছিলেন ৩ বছর। পরে ব্রেসের মূল দলের হয়েও খেলেন এক ম্যাচ। এরপর স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল সোসিয়েদাদে যোগ দেন ২০১৬ সালের জুলাইয়ে। সেই থেকে এখনো লা লিগার ক্লাবটির সঙ্গে আছেন। ন্যূনতম ফাউলে দারুণ রক্ষণ সক্ষমতার কারণে লা লিগার অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হিসেবে পরিচিত তিনি।
নরম্যান্ডের মতো ফ্রান্স থেকে লা লিগায় এসে বিশেষভাবে দৃষ্টি কেড়েছিলেন অমেরিক লাপোর্তে। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ে ছয় বছর খেলা এই সেন্টার ডিফেন্ডার এখন ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলছেন। ২০২১ সালে লাপোর্তেকে নাগরিকত্ব দেয় স্পেন সরকার। খেলেন ২০২২ কাতার বিশ্বকাপেও।
লাপোর্তের মতো একই সুযোগ থাকলেও নরম্যান্ড চেয়েছিলেন ফ্রান্সের হয়ে খেলতে। গত বছরের অক্টোবরে স্পেনের এএস–কে তিনি বলেন, ‘স্পেনকে আমি সত্যিই ধন্যবাদ জানাই। কারণ, এ দেশে আমি পেশাদার ফুটবল খেলার সুযোগ পেয়েছি, যেটা ফ্রান্সে হয়ে ওঠেনি। তবে আমি একজন ফরাসি। নিজেকে ফ্রান্সের একজন হিসেবেই দেখি। আমার লক্ষ্য ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে খেলা।’
বিশ্বকাপের পর ফ্রান্স দলে বড় পরিবর্তন এলে সুযোগ মিলবে, এমনটাই সম্ভবত আশা করেছিলেন নরম্যান্ড। তবে দিদিয়ের দেশমের দল থেকে এখনো সেই ডাক পাননি তিনি। যত দেরি, তত বয়স বেড়ে সম্ভাবনা কমে যাবে ভাবনায় শেষ পর্যন্ত স্পেনের নাগরিকত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নরম্যান্ড। এএফপি জানিয়েছে, নরম্যান্ডকে নাগরিকত্ব দিয়ে আজ বুধবার অফিশিয়াল স্টেট বুলেটিন (বিওই) প্রকাশ করেছে স্পেন সরকার।
ধারণা করা হচ্ছে, সামনেই নরম্যান্ডকে স্পেনের জাতীয় দলে ডাকা হবে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে নেশনস লিগ শেষ চারের জন্য দল ঘোষণা করবেন স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে।