বোনমাতি (ডানে) তাঁর ব্যালন ডি’অর দেখার জন্য দিতে চাইলেও ইয়ামাল তাতে স্পর্শও করেননি
বোনমাতি (ডানে) তাঁর ব্যালন ডি’অর দেখার জন্য দিতে চাইলেও ইয়ামাল তাতে স্পর্শও করেননি

‘কুফা লাগবে বলে’ ব্যালন ডি’অর ছুঁয়েও দেখেননি ইয়ামাল

প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে সোমবার আড়ম্বরপূর্ণ রাতে ছিল স্পেনের জয়জয়কার। ব্যালন ডি’অর পুরস্কারে ১০ ক্যাটাগরির ৭টিই যে উঠেছে স্প্যানিশ খেলোয়াড় অথবা স্প্যানিশ ক্লাবের কারও হাতে।

ছেলে ও মেয়েদের ব্যালন ডি’অর জিতেছেন স্পেনের রদ্রি ও আইতানা বোনমাতি। ছেলে ও মেয়েদের সেরা ক্লাব হয়েছে স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। ছেলেদের সেরা কোচ হয়েছেন রিয়ালের কার্লো আনচেলত্তি, সেরা দাতব্য কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন স্পেন নারী দলের ফরোয়ার্ড হেনি হেরমোসো। আর বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার কোপা ট্রফি জিতেছেন বার্সার বিস্ময় বালক লামিনে ইয়ামাল।

স্বাভাবিকভাবেই থিয়েটার দু শাতলেতে স্প্যানিশদের মধ্যে আনন্দের রং লেগেছিল। পুরস্কার নিয়ে একসঙ্গে তাঁরা ছবিও তুলেছেন।

ব্যালন ডি’অরের রাতে একসঙ্গে বোনমাতি ও ইয়ামাল

মেয়েদের ব্যালন ডি’অরজয়ী বোনমাতি আর কোপা ট্রফিজয়ী ইয়ামাল তো বার্সারই খেলোয়াড়। সেই রাতে দুজনের মধ্যে নানা বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে। কথপোকথনের একপর্যায়ে বোনমাতি ইয়ামালকে তাঁর জেতা সোনার বলটা ছুঁয়ে দেখতে বলেন। কিন্তু ইয়ামাল তা করেননি।

সম্প্রতি ক্রীড়া দৈনিক ‘দিয়ারিও স্পোর্ত’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানান বোনমাতি। টানা দুবার মেয়েদের ব্যালন ডি’অরজয়ী এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘সে (ইয়ামাল) আমাকে জিজ্ঞেস করে (সোনার) বলে আমার নাম লেখা আছে কি না। আমি বললাম, নাম লেখা আছে। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করলাম, সে এটা ছুঁয়ে দেখতে চায় কি না। সে বলল, “না, না।” তার কথা শুনে মনে হলো সে এটাতে কুফা লাগাতে চায়নি।’

কুফা লাগাতে না চাওয়া মানে, বোনমাতির ব্যালন ডি’অরে শুধু তাঁর ছোঁয়াই থাক। নিজেই একদিন ব্যালন ডি’অর জিতবেন, তখন প্রথমবার হাতে নেবেন—ইয়ামালের মনে হয়তো এমন ব্যাপার কাজ করেছে।

বর্ষসেরা তরুণ খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন লামিনে ইয়ামাল

ছেলেদের ব্যালন ডি’অরজয়ী ও ইয়ামালের জাতীয় দলের সতীর্থ রদ্রিরও বিশ্বাস, আগামীতে স্পেনের কেউ যদি ব্যালন ডি’অর জেতেন, সেটা ইয়ামালই হবেন। অনুজ সতীর্থের উদ্দেশে রদ্রি বলেন, ‘কঠিন পরিশ্রম চালিয়ে যাও, তোমার সামনে সবকিছু পড়ে আছে। তুমি শিগগিরই এটা জিতবে।’