বার্সার গোল উদ্‌যাপন
বার্সার গোল উদ্‌যাপন

চ্যাম্পিয়নস লিগ

শেষ ষোলোয় বার্সা, দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও জিতল সিটি

বার্সেলোনা ২: ১ পোর্তো

জিতলেই নিশ্চিত নকআউট। এমন সমীকরণে আজ নিজেদের মাঠে পোর্তোর বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু আগে গোল খেয়ে চাপেই পড়ে গিয়েছিল জাভি হার্নান্দেজের দল। সেই চাপ সামলে পরে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে তারা। ২-১ গোলে জিতে নিশ্চিত করেছে নকআউটও।

বার্সার মাঠে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় দুই দল। তবে প্রথম দিকে পোর্তোর চেয়ে বার্সাই এগিয়ে ছিল বেশি। তবে পোর্তোও পাল্টা জবাবে জমিয়ে দেয় রোমাঞ্চ। ৮ মিনিটে অবশ্য কাছাকাছি গিয়েও গোল পায়নি বার্সা। আক্রমণাত্মক ফুটবলের ম্যাচে ৩০ মিনিটে অবশ্য ভুল করেনি পোর্তো। পেপে আকিনোর গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগালের ক্লাবটি।

গোল হজম করে পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি বার্সাও। ২ মিনিট পর দর্শনীয় এক গোলে ম্যাচে সমতা ফেরান জোয়াও কানেসেলো। এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জায়গা বের করে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন পর্তুগিজ তারকা। বিরতির আগে দুই দলই চেষ্টা করেছে এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু গোল পায়নি কোনো দল।

বিরতির পরপর হোয়াও ফেলিক্সের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট বার কাঁপিয়ে বাইরে চলে যায়। বার্সা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিলে পোর্তোর চেষ্টা ছিল প্রতি-আক্রমণ ও লম্বা পাসে বার্সাকে চমকে দিতে। বিশেষ করে ৫০ মিনিটের পর টানা কয়েকটি পাল্টা আক্রমণ শানায় পোর্তো।

জয়ের পর পিএসজির খেলেোয়াড়রা

কিন্তু আক্রমণগুলো শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। বারবার ফিনিশিংয়ে গিয়ে ভুল করেছে অতিথিরা। তবে পোর্তোকে হতাশ করে ৫৭ মিনিটে সম্মিলিত এক আক্রমণে কানসেলোর পাসে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে গোল করেন ফেলিক্স। তাঁর এই গোলটিই মূলত ম্যাচের পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও এই ব্যবধান মেটাতে পারেনি পোর্তো।

ম্যান সিটি ৩: ২ লাইপজিগ

ঘরের মাঠে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের আজ রাতে কাঁপিয়েই দিয়ছিলে আরবি লাইপজিগ। ইতিহাদে ৩৩ মিনিটের মধ্যে লোইস ওপেন্ডার জোড়া গোলে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জার্মান ক্লাবটি। দুই গোলে পিছিয়ে পড়া সিটি চেষ্টা করেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পেপ গার্দিওলার দল। দুই গোল শোধ করার সঙ্গে জয়সূচক তৃতীয় গোলটিও আদায় করে নেয় তারা।

হলান্ড-আলভারেজের উদ্‌যাপন

এদিন ৫৪ মিনিটে সিটির হয়ে প্রথম গোলটি করেন আর্লিং হলান্ড। এই গোলে নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন হলান্ড। সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ৪০ গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন হলান্ড। ৩৫ ম্যাচে এই গোলগুলো করেছেন নরওয়েজীয় তারকা। এরপর ৭০ মিনিটে ফিল ফোডেন সমতা ফেরান সিটির হয়ে। আর সিটির হয়ে ৮৭ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন আর্জেন্টাইন তারকা হুলিয়ান আলভারেজ।