সেই দৃশ্যটা ভোলেননি নিশ্চয়ই। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ভক্ত হলে তো ভুলে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। কাতার বিশ্বকাপ থেকে পর্তুগালের বিদায়ের পর স্টেডিয়ামের টানেল ধরে রোনালদোর কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
রোনালদোর সেই কান্নায় বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার কষ্ট তো ছিলই, হয়তো ছিল ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এতটা বাজে সময় কাটানোর আক্ষেপও। এরপর সময় গড়িয়েছে অনেক। রোনালদো নতুন ক্লাবে যোগ দিয়েছেন, আবারও ফিরেছেন পর্তুগাল দলে। এত দিন পর এসে ক্যারিয়ারের সেই বাজে সময় নিয়ে মুখ খুললেন রোনালদো।
মূলত টেন হাগ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একাদশেই সুযোগ মিলছিল না রোনালদোর। এরপর বিতর্কিত এক সাক্ষাৎকারের জেরে ক্লাবের সঙ্গে কাতার বিশ্বকাপের আগে সম্পর্ক ছিন্ন হয় তাঁর। বিশ্বকাপে নিজেকে প্রমাণ করবেন সেই আশায় থাকা এই পর্তুগিজ তারকা জায়গা হারান পর্তুগালের শুরুর একাদশ থেকেও। এরপর তাঁকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি।
স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই রোনালদোর সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। এমন বাজে সময়েই নাকি রোনালদো তাঁর কাছের মানুষগুলোকে চিনতে পেরেছেন। বাজে সময়ের কথা স্বীকার করে রোনালদো বলেছেন, ‘কে তোমার পাশে আছে, সেটা দেখার জন্য এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে মাঝেমধ্যে যেতে হয়। কঠিন সময়েই বোঝা যায় কে পাশে আছে। বলতে কোনো দ্বিধা নেই, ক্যারিয়ারে খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি, এ নিয়ে অনুশোচনা নেই। জীবন চলে যায়, ভালো খারাপ যাই করি, আর এটা আমার অভিযাত্রার একটা অংশ।’
ইউরোপের ফুটবল রেকর্ডের অনেক পাতাই ওলট-পালট করেছেন রোনালদো। সেই রোনালদো এখন খেলছেন সৌদির ক্লাব আল নাসরে। নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়া নিয়েও নাটক কম হয়নি। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী এই তারকা দল পাচ্ছেন না, এমন কথাও শোনা গেছে।
নতুন ক্লাব আল নাসরে গিয়ে রোনালদো নামের প্রতি সুবিচার করলেও সমালোচকেরা মুখ বন্ধ রাখেননি। সৌদি লিগে খেলায় অনেকেই এখনো রোনালদোর সমালোচনা করেই চলেছেন। তবে সেদিকে কান দিচ্ছেন না এই পর্তুগিজ তারকা। নিজেকে আগের চেয়ে আরও প্রস্তুত বলে দাবি করছেন রোনালদো, ‘পাহাড়ের ওপরে থাকলে অনেক সময়ে বোঝা যায় না, নিচে কী আছে। আমি এখনো আগের চেয়ে বেশি প্রস্তুত, ওই শিক্ষাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গত কয়েক মাসে যেমনটা হয়েছে, আমি কখনো এমন কিছুর মধ্যে দিয়ে যাইনি। এটা আমাকে আরও ভালো মানুষও বানিয়েছে।’