অপেক্ষায় ছিল ঢাকা। কাঠমান্ডু থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এরপর গন্তব্য মতিঝিলের বাফুফে ভবন। বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবনেই যেতে লেগেছে প্রায় চার ঘণ্টা। কাঠমান্ডু থেকে বাফুফে ভবনে বাংলাদেশ দলের এ যাত্রার গল্পটা প্রথম আলোর তোলা ছবিতে—
(ছবি তুলেছেন শামসুল হক, সৈয়দ জাকির হোসেন, তানভীর আহাম্মেদ, শুভ্র কান্তি দাশ ও প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদকেরা)
ক্রিকেটের সঙ্গে যখন মিশে যায় ফুটবল, সেটিও আবার আকাশে। কাঠমান্ডু থেকে এ বিমানে করেই ঢাকা এসেছে বাংলাদেশ দল, সেখানে বিমান ক্রু হিসেবে ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার সানোয়ার হোসেন। ঢাকা বিমানবন্দরে অপেক্ষায় বিকেএসপির শিক্ষার্থীরা, বোনদের বরণ করে নেবেন বলে! বাদ্য, বাজনা, উৎসব…প্রস্তুত ঢাকা—বিজয়ীদের বরণ করতে। প্রস্তুত আবদুল কামাল। বিআরটিসিতে ২৪ বছর ধরে কাজ করা এই বাসচালকই সাফজয়ী দলকে নিয়ে যাবেন বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবনে। কামালের জীবনের স্মরণীয় দিন আজ। অবশেষে এলেন সানজিদা আক্তাররা। বিমানবন্দরেই এক দফা সংবর্ধনা পেলেন তাঁরা।কোচ গোলাম রব্বানী, হাত উঁচিয়ে বিমানবন্দর টার্মিনালে জবাব দিচ্ছেন অভিবাদনের। টার্মিনাল থেকে জনারণ্যের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসছেন ফুটবলাররা।বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরলেন আরেকবার… রাস্তায় এমন অভ্যর্থনা পেয়েছে বাংলাদেশ দল কেউ উঁচিয়ে ধরেছেন পতাকা, কেউ হাত মুষ্টিবদ্ধ করে যেন বোঝাচ্ছেন—আমরাই পারি! চ্যাম্পিয়ন দলের শরীরী ভাষা অমন দাপুটে থাকল ছাদখোলা বাসেও বিকেলের আলো কমে আসছে, ছাদখোলা বাসে বিজয়ী দলের গন্তব্য মতিঝিলের বাফুফে ভবন একবার হাত নাড়া, একনজর দেখা চ্যাম্পিয়নদের আঙুল তুলে কিছু একটা ঘোষণা দিচ্ছেন যেন সানজিদা আক্তার। ফাইনালের আগে তাঁর ফেসবুক পোস্টের পরই এমন ছাদখোলা বাসের অভ্যর্থনার পরিকল্পনা শুরু। শেষ পর্যন্ত যেটি রূপ নিল ইতিহাসে! বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রফি ভাগ করে নিচ্ছেন সাবিনা।বাংলাদেশের পতাকার নিচ দিয়ে দেখা যায় চ্যাম্পিয়নদের! ছবিটাকে প্রতীকী ধরে নিতে পারেন। আদতে বাংলাদেশের পতাকাটিকে আরেকটু উঁচিয়ে ধরেছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল।