নেপালের কাঠমান্ডুতে ইতিহাস গড়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। স্বাগতিক নেপালকে ৩–১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে বাংলাদেশ। দশরথ স্টেডিয়ামের ফাইনালে শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর জোড়া গোলে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত করেন কৃষ্ণা রানী সরকার।
তবে এই হারের ধাক্কা সামলাতে না পেরে পদত্যাগ করেছেন নেপাল নারী দলের কোচ কুমার থাপা। দলকে সাফল্য এনে দিতে ব্যর্থ হওয়াতেই পদ ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের এবার আসরে শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। তবু ফাইনালে অতীত ইতিহাসের কারণে পুরোপুরি ফেবারিট ছিল না সাবিনারা।
একে তো ফাইনালের প্রতিপক্ষ নেপাল খেলবে নিজেদের মাঠে। সঙ্গে পরিসংখ্যানও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৪৫ ধাপ এগিয়ে ছিল নেপাল। আগের ৮ দেখাতেও কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। ৬টি হারের বিপরীতে ড্র করেছে ২ ম্যাচে।
তবে ফাইনাল নিশ্চিত করেই ইতিহাস বদলানোর ঘোষণা দেন বাংলাদেশের মেয়েরা। সেই কথা অবশেষে দেশকে শিরোপা জিতিয়েই রেখেছেন তাঁরা। আর বাংলাদেশের সফলতার বিপরীতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরে গেলেন নেপাল কোচ।
গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা ও ভুটানকে পেছনে ফেলে শীর্ষে থেকেই সেমিফাইনালের টিকিট পায় নেপাল। আর সেমিফাইনালে প্রতিযোগিতার সফলতম ভারতকে ১–০ গোলে হারিয়ে বিদায় করে তারা। তবে ফাইনালে আবার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো নেপালের। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে পাঁচবার ফাইনালে উঠে প্রতিবার শিরোপা হাতছাড়া করল তারা।
ফাইনালের আগে নেপালকে শিরোপা এনে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন নেপাল কোচ কুমার থাপা। বলেছিলেন, এবার আর সুযোগ নষ্ট করতে চান না তাঁরা। তবে সেই কথা রাখতে পারেনি কুমার থাপার দল।
হারের পর নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দিতেও তাই দেরি করলেন না তিনি। সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে কুমার থাপা বলেছেন, ‘আমি নেপাল জাতীয় নারী দলের কোচ থেকে পদত্যাগ করছি। যদি কেউ সাফল্য না পায়, তবে আর আগানো উচিত নয়। অন্যদের এখন সুযোগ দেওয়া উচিত। দলে পদ আঁকড়ে পড়ে থাকা ভালো নয়।’
কুমার থাপা আরও যোগ করে বলেছেন, ‘প্রতিজ্ঞা রাখতে না পারায় আমি নেপালে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করেছি।’