যোগ করা সময়ে তখন ১৩ মিনিটের খেলা চলছিল। এমন সময়ে রিয়ালের জালে বল জড়ান বায়ার্ন সেন্টারব্যাক ম্যাথিয়াস ডি লিখট। তবে বল জালে জড়ানোর আগেই লাইনসম্যান অফসাইডের পতাকা তোলেন। গোলটি বাতিল হয়।
রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে বিতর্ক। তখন মাঠেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের কোচ টমাস টুখেলসহ ক্লাবটির খেলোয়াড়েরা। ম্যাচ শেষেও ছিল এর রেশ, রেফারি সাইমন মার্চিনিয়াককে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন টুখেল।
বার্নাব্যুতে গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল ফিরতি লেগে হোসেলুর জোড়া গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে রিয়াল। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের জয়ে ফাইনালে উঠল কার্লো আনচেলত্তির দল। প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল। অর্থাৎ তখন ডি লিখটের গোল বাতিল না হলে খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়াত।
ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টিএনটি স্পোর্টসকে বায়ার্ন কোচ টুখেল বলেছেন, ‘সর্বনাশা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লাইনসম্যান ও রেফারি। এই সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি বলে মনে হচ্ছে। দারুণ লড়াই হয়েছে, আমরা মাঠে সবটুকু দিয়েছি। (ফাইনালের) খুব কাছে পৌঁছেও গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন রিয়াল মাদ্রিদকে শুভকামনা জানাতে হচ্ছে।’
এরপর সংবাদ সম্মেলনেও ক্ষোভ ঝেড়েছেন টুখেল, ‘দুঃখ প্রকাশ করে এখন কোনো লাভ নেই। সবার সর্বোচ্চটা দিতে হয়েছে, ভুগতে হয়েছে, কোনো ভুল ছাড়াই খেলতে হয়েছে সবাইকে। সুতরাং রেফারিকেও সেই মানের হতে হবে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর অজুহাত দিয়ে কোনো লাভ নেই। আপনি সেরা বলেই মাঠে। শেষ পর্যন্ত মাঠে আপনার কাছে সেরাটা প্রত্যাশা করা আমাদের অধিকার।’
টিএনটি স্পোর্টসকে লিখট বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আমার সবাই নিয়ম জানি। অফসাইড হয়েছে কি না, সেটা পরিষ্কার না হলে খেলা চালিয়ে যেতে হবে। এটাই নিয়ম! আমার কাছে এটাকে অনেকটা লজ্জার মনে হয়েছে। হোসেলুও গোল করার সময় প্রায় অফসাইড ছিল, কিন্তু তখন তারা খেলা চালিয়ে গেছে। তাহলে আমাদের বেলায় কেন নয়?’
তবে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। তিনি বলেছেন, ‘মুভটা একেবারেই স্পষ্ট। লাইনসম্যান পতাকা তুলেছে, রেফারি বাঁশি বাজানোর পরই আমরা থেমে গেছি। তারা যদি এটা নিয়ে অভিযোগ করে, আমরা নাচোর বাতিল হওয়া গোলটি নিয়েও অভিযোগ করতে পারি।’
আগামী ১ জুন ওয়েম্বলিতে ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।