বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা শেষবার সরাসরি জিতেছিল সেই ৪৪ বছর আগে। সেটি ছিল গৌরবের এক জয়—১৯৭৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল। যে ম্যাচে মারিও কেম্পেসের জোড়া গোলে ৩–১ গোলে জিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল আর্জেন্টিনা। অন্য গোলটি ছিল দানিয়েল বারতোনির। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের সরাসরি জয় দুটি—একটি ১৯৭৮ সালেই, ৪–০ ব্যবধানে, গোল করেছিলেন আরি হান, ইয়োহান নেসকেন্স, রব রেনসেনব্রিঙ্ক ও প্লেউন স্ট্রিক। অপরটি ১৯৯৮ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে—প্যাট্রিক ক্লুইভার্ট ও ডেনিস বার্গক্যাম্পের গোলে।
বিশ্বকাপে এর বাইরে নেদারল্যান্ডস–আর্জেন্টিনা ম্যাচ হয়েছে আরও দুটি। ২০০৬ বিশ্বকাপে ও ২০১৪ বিশ্বকাপে। ২০০৬ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। ২০১৪ সালের ম্যাচটি ছিল সেমিফাইনাল। যেটি নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হয়। তাতে নায়ক হয়েছিলেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার সের্হিও রোমেরো। পেনাল্টি শুট আউটে আর্জেন্টিনার জয়ে স্কোরলাইন ছিল ৪–২।
বিশ্বকাপের বাইরে আর্জেন্টিনা নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছে তিনবার। একটি ১৯৭৯ সালে ফিফা সেলিব্রশন ম্যাচে, যেটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে ফিফা প্রীতি ম্যাচ ড্র হয়েছিল ১–১ গোলে। ২০০৩ সালে আরও একটি প্রীতি ম্যাচে নেদারল্যান্ডস জিতেছিল ১–০ গোলে।
এ তো গেল আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি লড়াইয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। আর্জেন্টিনা ভক্ত–সমর্থকদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে লিওনেল মেসি কয়বার নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে খেলেছেন। ‘কমলা’ বাহিনীর বিপক্ষে তাঁর পারফরম্যান্স কেমন? এ ব্যাপারে একটা বিষয় জেনে তাঁরা স্বস্তি পেতেই পারেন—ডাচদের বিপক্ষে এখনো হারেননি মেসি। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মেসি প্রথম মাঠে নেমেছিলেন ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে। সে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল আগেই বলা হয়েছে। মেসির পরের লড়াইটি ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অলিম্পিকে জিতেছেন মেসি। ২০০৮ সালের ১৬ আগস্ট সে ম্যাচটি ছিল অলিম্পিক ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনাল। বেইজিংয়ে সে ম্যাচে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ২–১ গোলে। মেসি একটি গোলও করেছিলেন।