মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়ছেন হ্যারি কেইন
মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়ছেন হ্যারি কেইন

৪৮ বছর পর বায়ার্নের এমন হার

গত মৌসুমে শেষ মুহূর্তের নাটকে লিগ জিতলেও এবারের আসরে শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলছিল বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথম ১২ ম্যাচের মধ্যে একটিতেও হারেনি দলটি। দুরন্ত ছন্দে এগিয়ে চলা সেই বায়ার্নের অপরাজেয়-দৌড় আজ থামিয়ে দিয়েছে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট, জিতেছে ৫–১ গোলে।

তাতে ফ্রাঙ্কফুর্ট বায়ার্নকে শুধু মৌসুমের প্রথম হারের তেতো স্বাদই দেয়নি, ৪৮ বছরের পুরোনো এক স্মৃতিও ফিরিয়ে এনেছে। ১৯৭৫ সালে বায়ার্নকে ৬-০ গোলে হারানোর পথে প্রথমার্ধেই ৫ গোল করেছিল ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেই স্মৃতি ফিরিয়ে এনে এবার বায়ার্নের জালে ৬০ মিনিটের মধ্যে ৫ গোল দিয়েছে দলটি। গত ৪৮ বছরে লিগে আর কোনো দল বায়ার্নকে এত কম সময়ের মধ্যে ৫ গোল দিতে পারেনি।

ফ্রাঙ্কফুর্টের মাঠে হওয়া ম্যাচটিতে স্বাগতিকেরা প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় ৩-১ গোলে। ১২তম মিনিটে ওমর মারমোশ, ৩১তম মিনিটে জুনিয়র দিনা এবিম্বে এবং ৩৬তম মিনিটে হুগো লারসন গোল করেন। ৪৪তম মিনিটে বায়ার্নের হয়ে এক গোল শোধ দেন ইয়োশুয়া কিমিখ।

বিরতির পর প্রথমার্ধের আক্রমণাত্মক ধারাই ধরে রাখে ফ্রাঙ্কফুর্ট। ৫০ মিনিটে দায়োত উপামেকানোর ভুল কাজে লাগিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের চতুর্থ ও ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল করেন ফরাসি মিডফিল্ডার এবিম্বে। এখানেই শেষ হয়নি। ৬০ মিনিটে আনসগার নাউফও গোল করলে ৫-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বায়ার্ন। গত ৪৮ বছরে ফ্রাঙ্কফুর্টই প্রথম দল যারা ম্যাচের প্রথম এক ঘণ্টায় বায়ার্নের জালে ৫ বার বল পাঠিয়েছে।

পরের আধা ঘণ্টায় বায়ার্ন কোনো গোল করতে না পারায় বড় ব্যবধানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় টমাস টুখেলের দলকে। একুশ শতকে এ নিয়ে চতুর্থবার লিগে ৪‍ বা এর বেশি গোলে হারল বায়ার্ন। যার মধ্যে দুটিই ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে (অন্যটি ২০১৯ সালে ৫-১)।

ম্যাচশেষে হতাশ মানুয়েল নয়্যার ও হ্যারি কেইনরা

বুন্দেসলিগায় ১৩ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে বায়ার্নের অবস্থান দুই নম্বরে। সমান ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার লেভারকুসেন।