ম্যাচের বয়স তখন ৫৭ মিনিট। আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে এগিয়ে। হঠাৎই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে গেল আর্জেন্টিনা। হুলিয়ান আলভারেজ যে গোলটি করলেন, তাতে সবচেয়ে বড় অবদান রদ্রিগো দি পলের।
অস্ট্রেলিয়ার গোলরক্ষক ম্যাথু রায়ানের ভুলে যেন গোলটি উপহার হিসেবেই পেলেন আলভারেজ। কিন্তু ব্যাক পাস থেকে আসা বলটি আলভারেজ পর্যন্ত পৌঁছাল তো দি পলের কারণেই। দি পল অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষকের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন বলেই তো সেই ফাঁকে সুযোগসন্ধানী আলভারেজ গোলটি পেয়ে গেলেন। এমন জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত দি পল।
বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই খেলছেন এই মিডফিল্ডার। নিজেদের জালে শেষ পর্যন্ত একটা গোল জড়িয়েছে, কিন্তু এখনো বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দারুণ খেলছে বলেই মনে করেন দি পল, ‘ওরা যে আমাদের বিপক্ষে একটা গোল করতে পেরেছে, এটাই ওদের ভাগ্য। তবে আমি মনে করি যে আমরা সব সময় যে খেলাটা খেলি, এই ম্যাচেও সেটাই খেলেছি এবং প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছি। আমরা জানি যে বিশ্বকাপে সব ম্যাচই একই রকম। এমনটা হবেই এবং আমরা জানতাম আজকের ম্যাচটাও হতে যাচ্ছে খুব কঠিন। কিন্তু আমরা খুবই ভালো খেলেছি।’
ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ম্যাচটি সমতায় আনার সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু গ্যারাং কুয়োলের শটটি দারুণ দক্ষতায় দ্বিতীয় চেষ্টায় ধরে ফেলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ম্যাচ শেষে তাই তো গোলরক্ষকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দি পল, ‘এটা দুর্দান্ত এক শট ছিল। কিন্তু আমরা জানি ভালো কিছু করতে আমাদের অসাধারণ একজন গোলরক্ষকের প্রয়োজন। এবং সেরা একজনকেই পেয়েছি।’
এমন জয়ে সব সময়ই দর্শকদের পাশে পেয়েছেন লিওনেল মেসি, রদ্রিগো দি পলেরা। এ জন্য আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ধন্যবাদ জানালেন দি পল, ‘এটা আসলে দুই পক্ষ থেকেই ভালোবাসার ব্যাপার। আমরা জনগণের কাছ থেকে ভালোবাসা পাই এবং ওরা আমাদের কাছ থেকে পায়। আমরা আর্জেন্টাইন এবং তার চেয়েও বড় কথা আমরা সমর্থকদের নিয়েই বাঁচি। জীবন আমাদের এমন জার্সির রংটা ধারণ করার অসাধারণ সুযোগ করে দিয়েছে।’
বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত কোনো ম্যাচে গোল করেননি দি পল। কিন্তু প্রতিটি ম্যাচেই দুর্দান্ত খেলা উপহার দিচ্ছেন। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি তিনি, ‘আমি এখনো নিজের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করিনি। তবে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলছি। বিশ্বাস করি যে এখনো আমি শিখছি এবং আমি আত্মবিশ্বাসী। আমার ফিটনেস ভালো এবং যে কারণে আমি খুশি। ভবিষ্যতে যত দিন পারব দলকে সহযোগিতা করে যেতে চাই।’