২০২১ সালের জুনে রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউট ছাড়েন জিনেদিন জিদান। এরপর প্রায় তিন বছরে আর কোনো ক্লাবে যোগ দেননি এই ফরাসি কিংবদন্তি। এর মধ্যে জুভেন্টাস, পিএসজি এবং ফ্রান্স দলের সঙ্গে জড়িয়ে তাঁর নাম শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত আর কোথাও যাওয়া হয়নি জিদানের।
এর মধ্যে একাধিকবার ডাগআউটে ফিরতে চাওয়ার কথা জিদান নিজেই বলেছেন, কিন্তু তাঁর কোচিংয়ে ফেরা নিয়ে দেখা যায়নি কার্যকর উদ্যোগ। সাম্প্রতিক সময়ে একই বিষয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন জিদান। এবার আলোচনাটা বায়ার্ন মিউনিখকে ঘিরে।
টানা ১১ মৌসুম শিরোপা জেতার পর পা ফসকেছে বায়ার্নের। ৫ ম্যাচ হাতে রেখেই বায়ার্নকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা জিতেছে বায়ার লেভারকুসেন। লেভারকুসেন শিরোপা জেতার আগেই অবশ্য মৌসুম শেষে বিদায়ের ঘোষণা দিতে হয়েছে কোচ টমাস টুখেলকে।
জার্মান এই কোচের বিদায় ঘোষণার পর থেকেই নতুন কোচের সন্ধানে আছে বাভারিয়ান ক্লাবটি। শুরুতে তাদের পছন্দ ছিল লেভারকুসেন কোচ ও ক্লাবের সাবেক খেলোয়াড় জাভি আলোনসো। তবে কদিন আগে আলোনসো জানিয়ে দেন, তিনি লেভারকুসেনেই থাকছেন।
আলোনসোকে না পেয়ে এবার নাকি জিদানের দিকেই হাত বাড়িয়েছে বায়ার্ন। রিয়ালের হয়ে টানা তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা এই কোচের এজেন্টের সঙ্গে বায়ার্নের যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা। জিদানের হাত ধরেই নাকি আবার রাজত্ব পুনরুদ্ধার করতে চায় মিউনিখের ক্লাবটি।
জিদান ছাড়াও এরই মধ্যে ইউলিয়ান নাগলসমান, হ্যানসি ফ্লিক ও জোসে মরিনিওর কথাও শোনা গেছে। তবে বায়ার্নের ডাগআউটে আসার দৌড়ে বাকি কোচদের এখন পেছনে ফেলেছেন জিদান। মার্কা জানিয়েছে, এরই মধ্যে নাকি দুই পক্ষের কথাও শুরু হয়ে গেছে। এখন সব শর্তপূরণ হলে হয়তো আগামী মৌসুমেই অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনার ডাগআউটে দেখা যাবে জিদানকে।
এদিকে কদিন আগে ডাগআউটে ফিরতে চান কি না, জানতে চাইলে জিদান বলেছেন, ‘কেন নয়, যেকোনো কিছু হতে পারে। আমি এ মুহূর্তে অন্য কিছু করছি, দেখা যাক কী হয়। আমি কোচিংয়ে ফিরতে চাই।’