ইতালি, ফ্রান্স আর জার্মানি—তিন দেশেই লিগ শিরোপার লড়াই শেষই বলা চলে। স্পেনেও শীর্ষস্থানে থাকা দল ভালো ব্যবধানে এগিয়ে। তবে তাল মিলিয়ে লড়াই চলছে এখনো ইংল্যান্ডে। সপ্তাহ শেষে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের শিরোপার লড়াই কোথায় কেমন, সেটিই জেনে নিন এক ঝলকে।
ইতালিতে লিগ শিরোপা জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে ইন্টার মিলান। তবে লাওতারো মার্তিনেজরা নিজেদের চেষ্টাতেই শুধু এগিয়ে যাচ্ছেন না, তাদের এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে জুভেন্টাসও। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জুভরা এ সপ্তাহে নাপোলির কাছে হেরেছে ২–১ ব্যবধানে। লিগে সর্বশেষ ছয় ম্যাচে এটি জুভেন্টাসের তৃতীয় হার, বাকি তিনটির দুটিতে ড্র। জুভদের টানা পয়েন্ট হারানো আর ইন্টারের টানা জয়ের সুবাদে দুই দলের পয়েন্ট ব্যবধান এখন ১২। ইন্টারের এক ম্যাচ কম খেলা বিবেচনায় নিলে যা ১৫ পয়েন্টও ধরা যায়।
ম্যানচেস্টার ডার্বিতে শুরুতেই গোল হজম করে বড় ধাক্কাই খেয়েছিল সিটি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে ইউনাইটেডের জালে তিনবার বল পাঠিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। রোববারের এই জয়ে শুধু ম্যানচেস্টার ডার্বি জয়ই নয়, শিরোপার লড়াইয়ে লিভারপুলের ওপর চাপটা ধরে রাখতে পেরেছে সিটি। এই মুহূর্তে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় সিটি ও লিভারপুলের ব্যবধান মাত্র ১ পয়েন্টের। আর্সেনাল যদি তাদের পরবর্তী ম্যাচ জেতে, তাহলে শীর্ষ তিন দলেরই ২৭ ম্যাচ শেষে পয়েন্টের ব্যবধান এক পয়েন্টের মধ্যে নেমে আসবে।
ইতালির মতো জার্মানিতেও পয়েন্ট তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় দলের মধ্যে ব্যবধান বেড়ে চলেছে। গত সপ্তাহে ফ্রেইবুর্গের মাঠে গিয়ে ২–২ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। আর কোলনের মাঠ থেকে ২–০ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফিরেছে বায়ার লেভারকুসেন। মোটের ওপর দুই দলের ব্যবধান হয়ে গেছে ১০ পয়েন্টের।
গত সপ্তাহে লিগের ম্যাচ জিততে পারেনি পিএসজিতে। মোনাকোতে গিয়ে গোলশূন্য ড্র করেছে লুইস এনরিকের দল। আবার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রেস্ত জিতেছে হাভরের বিপক্ষে। এরপরও ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’র পয়েন্ট তালিকায় বড় ব্যবধানেই এগিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৩৪ দলের লিগে ২৪ ম্যাচ ম্যাচ শেষে ব্রেস্তের চেয়ে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে পিএসজি।
শিরোপার লড়াইয়ে শীর্ষে উঠে যাওয়া নয়, বার্সেলোনার সামনে ছিল পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে ওঠার সুযোগ। কিন্তু জাভি হার্নান্দেজের দল সেটা পারেনি। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে তিন নম্বরেই থেকে গেছে বার্সা। অথচ এই রাউন্ডেই জিরোনা মায়োর্কার কাছে হেরে যাওয়ায় তাদের টপকে যাওয়ার সুযোগ ছিল। এমনকি রিয়াল মাদ্রিদ ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে ২–২ গোলে ড্র করে ফেরায় তাদের সঙ্গেও ব্যবধান কমানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু কোনোটাই না হওয়ায় লা লিগার শিরোপা–দৌড়ের লড়াই এখনো আগের সপ্তাহের মতোই।