ওতামেন্দির চ্যালেঞ্জে পেনাল্টি পায় কলম্বিয়া
ওতামেন্দির চ্যালেঞ্জে পেনাল্টি পায় কলম্বিয়া

ওটা পেনাল্টি ছিল না, দাবি পারেদেসের

ম্যাচের ৫৩ মিনিট। দুই দল ১-১ গোলে সমতায়। এমন সময়ে নিজেদের বক্সে নিকোলাস ওতামেন্দির চ্যালেঞ্জে দানিয়েল মুনোজ পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করেন কলম্বিয়ার ফুটবলাররা।

কয়েক মিনিট সময় নেওয়ার পর ভিএআর মনিটর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান চিলিয়ান রেফারি পিয়েরো মাজা। যা নিয়ে মাঠে দুই দলের ফুটবলাররা তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। ম্যাচ শেষেও এর রেশ রয়ে গেছে। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার লিয়ান্দ্রো পারেদেসের দাবি, ওটা পেনাল্টি ছিল না।

ম্যাচ শেষে পারেদেস বলেছেন, ‘আমার মতে ওটা পেনাল্টি ছিল না। নিকো সামনে থেকে আটকাতে গিয়েছিল। অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, প্রথমার্ধে হুলিয়ানের ঘটনার সময়ে তারা চেক করেনি।’

পারেদেস, দি পল - আর্জেন্টিনার মাঝমাঠের দুই ভরসা

কলম্বিয়ার কাছে হারের আগে টানা ১২ ম্যাচে অজেয় ছিল আর্জেন্টিনা। সর্বশেষ তারা হেরেছিল গত বছরের নভেম্বরে উরুগুয়ের বিপক্ষে। পারেদেস মনে করেন, দল এক ম্যাচে হারতেই পারে। এখন সময় সামনে তাকানোর, ‘আপনি হারতেই পারেন। আমরা শক্তিশালী এক দলের বিপক্ষে সমর্থকদের কঠিন কন্ডিশনে সামনে হেরেছি। এটা স্বাভাবিক, সবাই আমাদের হারাতে চায়। আমরা সেটা জানি। আমাদের সামনে তাকাতে হবে।’

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ও দুটি কোপা আমেরিকা জয়ে বড় অবদান রাখা রদ্রিগো দি পলও এই হারকে বড় করে দেখছেন না। ম্যাচ শেষে দি পল বলছেন, ‘আপনি কখনো হারবেন, কখনো জিতবেন, এটা খেলার অংশ। গত ৫ বছরে আমরা ৩টি ম্যাচ হেরেছি, আজকে আমাদের হেরে যাওয়ার দিন ছিল। আমরা এমন একটা জায়গায় আছি যে সবাই আমাদের হারাতে চায়। এটা স্বাভাবিক।’

পেনাল্টি থেকে গোল করেন রদ্রিগেজ

হার মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শপথ করলেন দি পল, ‘ আমরা হারি না—এটা দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলে একটা মিথে পরিণত হয়েছে। এটা আমাদের আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ভাবমূর্তি বাড়িয়েছে। আমরা হার মেনে নিই, সামনে এগোই।’

তবে জাতীয় সংগীতের সময় কলম্বিয়ার সমর্থকদের দুয়োধ্বনি পছন্দ করেননি ডি পল, ‘আমাদের জাতীয় সংগীতের সময় দুয়োধ্বনি দেওয়াটা ঠিক হয়নি। আমি তাদের আক্ষেপটা বুঝতে পেরেছি। তারা কোপা আমেরিকা ফাইনাল নিয়েও উত্তেজিত ছিল।’
গত জুলাইয়ে কোপা আমেরিকা ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে ২৩ বছর পর শিরোপা জয়ের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয়েছিল কলম্বিয়াকে।