কেপ ভার্দের বিপক্ষে ম্যাচে মিসরের ডাগআউটে সালাহ
কেপ ভার্দের বিপক্ষে ম্যাচে মিসরের ডাগআউটে সালাহ

যেমনটা ভাবা হয়েছিল, সালাহর চোট তার চেয়ে গুরুতর

যে করেই হোক, এবার আফ্রিকান নেশনস কাপের শিরোপা জিততে চান মোহাম্মদ সালাহ। ঘোচাতে চান ২০১৭ ও ২০২১ সালের দুঃখ। দুবারই খুব কাছে গিয়েও শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে সালাহকে, তাঁর দল মিসর হেরেছে ফাইনালে।

শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে এবার আইভরিকোস্টে গিয়ে প্রথম ম্যাচেই একটা ধাক্কা খান সালাহ। তুলনামূলক কম শক্তির মোজাম্বিকের সঙ্গে যে প্রথম ম্যাচে ড্র করে দল। ঘানার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচেও মিসর ড্র করে। সেই ম্যাচে মাঠের ফলের চেয়েও সালাহর জন্য বড় ধাক্কা ছিল চোটে পড়া

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট সালাহকে মাঠের বাইরে ছিটকে ফেলে দুই ম্যাচের জন্য। চোট পাওয়ার এক দিন পর জানানো হয়, মোহাম্মদ সালাহ তাঁর ক্লাব লিভারপুলে গিয়ে চিকিৎসা করাবেন। সেই সময় মিসরের কোচ রুই ভিতোরিয়া বলেছিলেন, সালাহ ফিরে এসে শেষ ষোলোর ম্যাচ খেলবেন।

কেপ ভার্দের বিপক্ষে মিসরের খেলা দেখছেন মোহাম্মদ সালাহ

সালাহর মিসর গতকাল কেপ ভার্দের সঙ্গেও ড্র করে উঠেছে শেষ আটে। ম্যাচটি চলার সময় সালাহকে মিসরের ডাগআউটেও দেখা গেছে। এখনাে তিনি লিভারপুলে যাননি। ২৮ জানুয়ারি শেষ ষোলোতে মিসর খেলবে ‘এফ’ গ্রুপের রানার্সআপ দলের সঙ্গে। এই গ্রুপের একটি ম্যাচ এখনো বাকি আছে। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা মরক্কোসহ কঙ্গো, জাম্বিয়া বা তানজানিয়ার যেকোনো দলই হতে পারে রানার্সআপ। তা যে দলেই রানার্সআপ হয়ে উঠুক শেষ ষোলোতে, তাদের বিপক্ষে সালাহ কি খেলতে পারবেন?

প্রশ্নটি করা হচ্ছে, মিসরের কোচ রুই ভিতোরিয়া সালাহর চোটের সর্বশেষ জানাতে গিয়ে যা বলেছেন, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে। তাঁর কথার মর্মার্থটা এ রকম—সালাহর চোট যতটা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি গুরুতর।

সালহর চোট নিয়ে তাঁর এজেন্ট রামি আব্বাস ইসা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘প্রথমে যেমনটা ভাবা হয়েছিল, মোহাম্মদের চোট এর চেয়ে বেশি গুরুতর এবং মাত্র দুই ম্যাচ নয়, সে ২১ থেকে ২৮ দিন মাঠের বাইরে থাকবে।’

কেপ ভার্দের সঙ্গে ড্র করে মিসর শেষ ষোলোতে ওঠার পর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটি করা হয়েছিল রুই ভিতোরিয়াকে। এর উত্তরে মিসরের কোচও একই কথা জানিয়েছেন, ‘(কেপ ভার্দের বিপক্ষে) এ ম্যাচের আগে আমরা জানতে পেরেছি, আমরা প্রথমে যেমনটা ভেবেছিলাম, মোহাম্মদ সালাহর চোট তার চেয়ে বেশি সময়ের। তার আবার খেলতে নামার সময়টা বাড়বে।’

এখন দেখা যাক, কবে আবার মিসরের হয়ে আফ্রিকান নেশনস কাপে খেলতে পারেন সালাহ!