ব্রাজিলের কোচ হচ্ছেন আনচেলত্তি—কথাটা এত দিন গুঞ্জন আকারেই মূলত শোনা যাচ্ছিল। যদিও গুঞ্জনটা বেশ জোরালোই ছিল। ব্রাজিল দলের গোলরক্ষক এদেরসনও কয় দিন আগে আনচেলত্তির কোচ হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। তবে এবার আনচেলত্তি নিজেই ব্রাজিলের কাছ থেকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানালেন। বলেছেন, এমন প্রস্তাবে রোমাঞ্চিত হওয়ার কথাও।
বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় ব্রাজিলের কোচের পদ থেকে তিতের বিদায়ের পর নতুন কোচের সন্ধানে ছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। শুরুতে তিতের জায়গায় ব্রাজিলের কোচ হিসেবে লুইস এনরিকে, জোসে মরিনিও এবং জিনেদিন জিদানসহ একাধিক নাম সামনে আসে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়ে টিকে ছিলেন আনচেলত্তিই।
যদিও বিদেশি কোচ নিয়োগ দেওয়া নিয়ে বিরোধিতা ছিল ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যেই। রোনালদো নাজারিওর মতো কিংবদন্তি বিদেশি কোচের পক্ষে মত দিলেও, আরেক সাবেক খেলোয়াড় রিভালদো এমন কিছুকে দেখেছিলেন দেশের কোচদের ‘অসম্মান’ হিসেবে।
যদিও এখন এসে পরিস্থিতি ব্রাজিলে বিদেশি কোচের নিয়োগের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে আনচেলত্তির মন্তব্যের পর ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের ইচ্ছেটাও এবার স্পষ্টভাবে সামনে এল।
ব্রাজিলের কাছ থেকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব পাওয়া প্রসঙ্গে আনচেলত্তি বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে ব্রাজিল জাতীয় দল আমাকে চায়। এটা আমার পছন্দ হয়েছে, আমি রোমাঞ্চিত।’ পাশাপাশি অবশ্য রিয়ালের সঙ্গে নিজের চুক্তির কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন আনচেলত্তি, ‘আপনাকে বিদ্যমান চুক্তিটিকে সম্মান দেখাতে হবে। আর এটি এমন চুক্তি, যা আমি পূরণ করতে চাই। কারণ, আমি রিয়াল মাদ্রিদকে পছন্দ করি। সবকিছু অবশ্য বেশ স্পষ্ট, মাদ্রিদ যত দিন চাইবে, আমি তত দিন এখানে থাকব।’
তবে ভবিষ্যতে যে ভিন্ন কিছু হতে পারে, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন আনচেলত্তি, ‘এরপর (রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি শেষে) ভবিষ্যতে যেকোনো কিছু হতে পারে। আর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কেউ জানে না।’
অন্যদিকে আনচেলত্তি যদি রিয়ালে চলে যান, তাহলে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তাঁর জায়গায় আসতে পারেন আর্জেন্টাইন কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত টটেনহামের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন পচেত্তিনো। তাঁর অধীন টটেনহাম প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও খেলেছে।