বয়স হয়ে গেছে ৩৮ বছর। এই বয়সেও যে তিনি দলের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়, গতকাল রাতে সেভিয়ার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের জয়ে সেটাই যেন দেখালেন লুকা মদরিচ। নিজেদের মাঠে ৮১ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ান এই প্লেমেকারের দুর্দান্ত এক গোলেই সেভিয়াকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল।
এই জয়ে শীর্ষে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট হয়েছে ২৬ ম্যাচে ৬৫। গত পরশু হেতাফেকে উড়িয়ে দিয়ে জিরোনাকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বার্সেলোনার চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে কার্লো আনচেলত্তির দল। ২৬ ম্যাচে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৫৭। ১ ম্যাচ কম খেলে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে জিরোনা। আজ রাতে নিজেদের মাঠে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে এ রাউন্ডের ম্যাচটি খেলবে তারা।
রিয়ালের ইতালিয়ান কোচ আনচেলত্তিকে কাল শুরুর একাদশ সাজাতে একটু ঝামেলাই পোহাতে হয়েছে। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা জুড বেলিংহাম ও হোসেলু চোটের কারণে ছিলেন না। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও দানি কারবাহাল খেলতে পারেননি নিষেধাজ্ঞার কারণে।
শুরুর একাদশের প্রায় নিয়মিত এই চার মুখকে মাঠে নামতে হওয়ার প্রভাবটা রিয়ালের খেলায় ছিল স্পষ্ট। মাঝমাঠে বল দখলের লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা রিয়াল পিছিয়ে যেতে পারত ম্যাচের শুরুর দিকেই। কিন্তু সেভিয়ার মরোক্কান ফরোয়ার্ড ইউসেফ এন-নেসিরি সহজ সুযোগ থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন।
রিয়াল ম্যাচে খুব বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। পুরো ম্যাচে ৬টি শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে তারা। এরই একটিতে ৮১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মদরিচের বজ্রপাতের মতো এক শটে এগিয়ে যায় রিয়াল। ৭৫ মিনিটে নাচোর বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন মদরিচ। সেভিয়ার খেলোয়াড়েরা অবশ্য এ গোলটিতে অফসাইডের দাবি তুলেছিল। কিন্তু রেফারি তাদের সেই আবেদনে পাত্তা দেননি।
১০ মিনিট পর রিয়ালের ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। কিন্তু লুকাস ভাসকেজের শট জালে জড়ালেও ভিএআর গোল বাতিল করে। এ সময় রিয়ালের কোচ আনচেলত্তিকে দুয়োও দেয় সেভিয়ার সমর্থকেরা। ম্যাচ শেষে অবশ্য দুয়ো নিয়ে কিছু বলেননি আনচেলত্তি। শুধু বলেছেন, ‘জয় আমাদের প্রাপ্যই ছিল।’ আর মদরিচ বলেছেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি যে কখনোই হাল ছাড়িনি। এটাই রিয়াল মাদ্রিদের ডিএনএ।’
সেভিয়ার বিপক্ষে পাওয়া এই জয়ে লা লিগায় টানা ২০ ম্যাচে অপরাজিত থাকল রিয়াল। লা লিগায় সর্বশেষ তারা ম্যাচ হেরেছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। নগর প্রতিপক্ষ আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে সেই হারটি ছিল ৩-১ গোলে।