উগো লরিস ও রাফায়াল ভারান আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নেওয়ার পর ফ্রান্স জাতীয় দলের অধিনায়ক কে হবেন, এ নিয়ে জল্পনাকল্পনা ছিল। কোচ দিদিয়ের দেশম ফ্রান্সের অধিনায়কত্ব তুলে দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পের কাঁধে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ নিয়ে নাকি বেশ মন খারাপ ফ্রান্সের আরেক তারকা আঁতোয়ান গ্রিজমানের। দলে জ্যেষ্ঠতা বিচারে অধিনায়কত্ব যে এই ফরোয়ার্ড পেতেই পারতেন।
ফরাসি পত্রিকা লে’কিপ গ্রিজমানের মন খারাপ হওয়ার কথাই বলছে। যেখানে অভিজ্ঞতার বিচারে অধিনায়কত্বই পাওয়ার কথা, সেখানে তিনি পেয়েছেন সহঅধিনায়কের দায়িত্ব। কোচ দেশমই দুজনের মধ্যে থেকে এমবাপ্পেকে বেছে নিয়েছেন। দেশের জার্সিতে ম্যাচ খেলেছেন ১১৭টি, গোল করেছেন ৪২।
অভিজ্ঞতার বিচারে তিনি এমবাপ্পের চেয়ে এগিয়ে অনেকটাই। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। কাতার বিশ্বকাপেও ফ্রান্সকে ফাইনালে তুলতে অবদান রেখেছেন। কিন্তু অধিনায়কত্ব নিয়ে দেশম ভেবেছেন ভিন্ন কিছু।
দেশমের এই ‘ভিন্ন ভাবনা’র সমালোচনা করেছেন ফ্রান্সের সাবেক ফুটবলার রবার্ট পিরেস। আর্সেনালের সাবেক এই কিংবদন্তির মতে, ‘এটা কি যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত (এমবাপ্পের অধিনায়ক হওয়া)? সত্যি বলছি, না! যদি কারও বহু বছরের অভিজ্ঞতা ও দলে তাঁর ভূমিকা বিবেচনা করা হয়, তাহলে আমার দৃষ্টিতে অধিনায়কত্বটা গ্রিজমানেরই প্রাপ্য। আমি তাঁকেই আশা করেছিলাম।’
পিরেসের মতে, এতে গ্রিজমানের প্রতি কোচ দিদিয়ের দেশমের অসম্মান ও অবজ্ঞাই প্রকাশ পেল, ‘গ্রিজমান দেশমের এক দারুণ সৈনিক। সে টানা ৭৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। যেটি ফ্রান্সের হয়ে টানা সর্বোচ্চ। আমি এমবাপ্পের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু গ্রিজমানকে অধিনায়ক না করা তার প্রতি অসম্মানই মনে করি।’
এমবাপ্পেকে অধিনায়ক করা নিয়ে দেশম বলেছেন, ‘এমবাপ্পে মাঠ ও মাঠের বাইরে সব মানদণ্ডই পূরণ করেছে অধিনায়ক হওয়ার ব্যাপারে।’ গ্রিজমানের ব্যাপারেও কথা বলেছেন দেশম। বলেছেন, তিনি তাঁকে দলের অন্যতম স্তম্ভই মনে করেন, ‘গ্রিজমান সব সময়ই ফ্রান্স দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। আমি সব কঠিন সময়েই গ্রিজমানের ওপর আস্থা রেখেছি। সে দলের স্তম্ভ। সে আমার কাছে ভবিষ্যতে তা–ই থাকবে।’