বিয়ের পর এনদ্রিক ও মিরান্দা
বিয়ের পর এনদ্রিক ও মিরান্দা

৫ বছরের বড় মিরান্দাকে বিয়ে করে প্রেমের পরিণতি দিলেন এনদ্রিক

তাঁদের দুজনের প্রথম দেখা প্রায় এক বছর আগে। দেখা থেকেই বন্ধুত্ব। তবে সেই বন্ধুত্ব প্রেমে রূপ পেতে বেশি সময় লাগেনি। এরপর এক বছর চুটিয়ে প্রেম করেছেন দুজন। এবার সেই প্রেমকে পরিণয়ে রূপ দিলেন এনদ্রিক ও গাব্রিয়েলি মিরান্দা।

পালমেইরাস থেকে এ বছরই রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানো এনদ্রিকের বয়স ১৮ বছর। স্ত্রী মিরান্দার বয়স তাঁর চেয়ে ৫ বছর বেশি। ২৩ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান মডেল ইনস্টাগ্রামে বিয়ের খবরটি দিয়েছেন বাইবেলের একটি অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে।

মিরান্দা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘ম্যাথু ১৯: ৬—তাই তাঁরা এখন আর দুই নেই, এক। সুতরাং ঈশ্বর যাদের এক করেছেন, কেউ তাদের আলাদা করতে পারবে না।’ বাইবেলে যেকোনো বিয়েকেই এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

১ বছরের প্রেমকে পরিণতি দিলেন এনদ্রিক ও মিরান্দা

পরিচয়ের পর এনদ্রিকের সঙ্গে মিরান্দা যখন প্রেম শুরু করেন, তখন ব্রাজিলের উঠতি তারকাকে কিছু শর্ত দিয়েছিলেন। সেই শর্তে সই করেই মিরান্দার সঙ্গে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়েছিল এনদ্রিককে।

এনদ্রিক আর মিরান্দার প্রেমের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাজানি হয় গত বছর অক্টোবরেভ সেই থেকেই চুক্তির শর্ত মেনে চলছেন তাঁরা। শর্তগুলো কী? শর্তের যে ফর্দ সেখানে ধাপে ধাপে বিষয়গুলো লেখা আছে এভাবে—‘স্বেচ্ছায় আবেগের বশে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।’ আর এই সম্পর্কের ভিত হলো ‘সম্মানবোধ, বোঝাপড়া ও ভালোবাসা।’ চুক্তির দ্বিতীয় শর্ত যেকোনো ধরনের নেশাদ্রব্য পান এবং ‘হুট করে আচার-আচরণ পাল্টে ফেলা’ নিষিদ্ধ।

তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে আই লাভ ইউ (আমি তোমাকে ভালোবাসি) বলা বাধ্যতামূলক।’ নিজেদের মধ্যে কথা বলার সময় কিছু শব্দও তাঁরা ছেঁটে ফেলেছেন চুক্তির শর্ত অনুযায়ী। সেগুলো হলো ‘হুম’, ‘আহেম’, ‘ওকে’, ‘বিউটি’ ও ‘লোল’।

এনদ্রিক ও মিরান্দা, যখন তাঁরা প্রেমিক–প্রেমিকা ছিলেন

কিন্তু ভুল তো মানুষের হয়ই। এ ছাড়া এনদ্রিকের বয়স তখন মাত্র ১৭ বছর ছিল। মিরান্দা তাঁর চেয়ে ৫ বছরের বড় হলেও কীই বা আর বয়স! তখন তো মাত্র ২২। শর্ত মানতে ভুল করলে কী হবে, সেটাও তাই যুক্ত ছিল চুক্তিতে। এনদ্রিক জানিয়েছিলেন, ভুলে হলে ‘জরিমানা দিতে হবে’ আর সেটি হতে হবে উপহারের মোড়কে। এনদ্রিকের ভাষায়, ‘যে এই নিয়ম ভাঙবে মাসের শেষে তাকে এমন কিছু দিতে হবে, যেটা তার প্রেমিক/প্রেমিকার পছন্দের। যেমন আমি তার কাছে একটি অ্যাপল হেডসেট চেয়েছিলাম, সে সেটি দিয়েছে।'

মিরান্দার সঙ্গে এনদ্রিকের প্রথম পরিচয়ের সুযোগ হয়েছিল বন্ধুদের মাঝে বাজি ধরতে গিয়ে। মিরান্দা জানিয়েছেন, এনদ্রিক পালমেইরাসে খেলার সময় থেকেই তাঁকে চিনতেন। দুজনেরই বন্ধু, এমন একজনের মাধ্যমে তাঁদের প্রথম পরিচয়, তারপর প্রণয়। আর এখন সেই প্রণয় থেকে পরিণয়!