বাংলাদেশের ফুটবলে দারুণ শুরু করলেন হিগর লেইতে। ব্রাজিল তারকা কাকার আত্মীয় তিনি। তাঁর জোড়া গোলেই আজ স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে দুই বছর পর শীর্ষ ফুটবলে ফেরা ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। টুর্নামেন্টে এটি শেষ জামালের প্রথম ম্যাচ।
গত মৌসুমে প্রত্যাশিত ফল না পেয়ে এবার দলে অনেক পরিবর্তন এনেছে শেখ জামাল। যার মধ্যে আছে মেসিডোনিয়ান কোচ মারজান সেকুলোভস্কির সংযোজন। মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের কোচ ছিলেন মারজান। শেখ জামালের কোচ হিসেবে বড় জয় দিয়ে শুরু হলো তাঁর। যেমন শুরু হলো লেইতেরও।
বাংলাদেশে মারজানের কোচিং পর্বে বড় অস্ত্র হতে পারেন ৩০ বছর বয়সী লেইতে। পুরো নাম হিগর বারবোসা রদ্রিগেজ লেইতে।
১৯৯৩ সালের ২ জানুয়ারি জন্ম এই ফুটবলারের। উচ্চতা ৫ ফুট সাড়ে ৯ ইঞ্চি। খেলছেন ১০ নম্বর জার্সিতে। প্রথম দিনেই আজ শেখ জামাল ধানমন্ডির জার্সিতে দলের প্রথম ২টি গোলই তাঁর। প্রথমটি করছেন কিছুটা কোনাকুনি জায়গা থেকে গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে। দ্বিতীয় গোলটি দারুণ এক ফ্রি–কিকে। ২টি গোলেই বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের সামর্থ্য।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচ শেষে লেইতে নিজেই জানালেন কাকার সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তার সম্পর্কের কথা। বললেন, ‘আমার বাবা আর কাকার বাবা আত্মীয়তার সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ফলে কাকা আমার কাজিন। আমরা একই বংশের সন্তান। সে ছোট থেকেই আমার আদর্শ, আমার প্রিয় ফুটবলার। তাকে দেখেই আমি ফুটবলে আগ্রহী হয়েছি।’
২০১২-১৮ পর্যন্ত লেইতে খেলেছেন ব্রাজিলের বিখ্যাত ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে। শীর্ষ স্তরে দলটির জার্সিতে তাঁর খেলা হয়েছে ১৮টি ম্যাচ। জিতেছেন ব্রাজিলিয়ান লিগও। এই সময়ে বেশ কয়েকটি ক্লাবে ধারেও খেলেছেন। সর্বশেষ খেলেছেন ব্রাজিলের পেশাদার ফুটবলে দ্বিতীয় স্তরে লন্দ্রিনা ক্লাবের জার্সিতে। ২০২০ সালে তৃতীয় স্তর থেকে দলটি উঠে আসে দ্বিতীয় স্তরে।
লেইতে এই প্রথম এসেছেন বাংলাদেশে। আসার কারণটাও জানালেন, ‘শেখ জামাল ক্লাব থেকে ভালো প্রস্তাব পেয়েই আসলে আমার বাংলাদেশে আসা।’ কথা বলেন পর্তুগিজ ভাষায়। তবে ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে বললেন, ‘বাংলাদেশে এসে খুব ভালো লাগছে। এখানকার মানুষ দারুণ, মিশুক। ক্লাব থেকেও সব সমর্থন পাচ্ছি। তবে সমস্যা হলো, এখানকার ঝাল খাবারে এখনো অভ্যস্ত হতে পারিনি। আশা করি, সেটাও হয়ে যাবে।’
শেখ জামালকে এগিয়ে নিতে চান সামনে। স্বাধীনতা কাপের সেরা গোলদাতা হবেন কি না, এমন প্রশ্নে বললেন, ‘এখনই বলতে চাই না এ নিয়ে। তবে শেখ জামালের হয়ে বেশি বেশি গোল করাই আমার মূল লক্ষ্য।’