আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে শ্রীলঙ্কা ফুটবল ফেডারেশনকে (এফএফএসএল) নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার জাতীয় দল ও কোনো ক্লাব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশ নিতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকতে ফিফা থেকে আর্থিক বা উন্নয়ন কর্মসূচির সহায়তাও পাবে না এফএফএসএল। ফিফার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সদস্য দেশগুলোকে উদ্দেশ করে লেখা চিঠিতে বলা হয়, ফিফা গঠনতন্ত্রের ১৬ ধারা অনুসারে ২১ জানুয়ারি এফএফএসএলকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফার ব্যুরো অব কাউন্সিল। তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হওয়া নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এএফপির খবরে বলা হয়, এফএফএসএলে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে এমন নিষেধাজ্ঞা এসেছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম। দেশটির ফুটবল ফেডারেশনে বাইরের হস্তক্ষেপের বিষয়ে গত মাসেই ‘রেড নোটিশ’ দিয়েছিল ফিফা। গত ১৪ জানুয়ারি এফএফএসএলের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ সভাপতি জশওয়ার উমার লেবে অভিযোগ করেন, নির্বাচনের দিন সকালে তাঁকে অন্যায়ভাবে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে কোর্ট অব আপিলে (সিএ) পিটিশন দায়ের করলে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয়েছে।
ফিফার দেওয়া চিঠিতে অবশ্য নির্বাচন বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ফিফার জেনারেল সেক্রেটারি ফাতমা সামৌরার সই করা চিঠিতে বলা হয়, ‘নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় গঠনতন্ত্রের ১৩ ধারা অনুসারে প্রযোজ্য সদস্যের সুযোগ-সুবিধা পাবে না এফএফএসএল। এর কোনো সদস্য বা কর্মকর্তা ফিফা ও এএফসির উন্নয়ন কার্যক্রম, কোর্স বা ট্রেনিংয়ের সুবিধাও পাবে না।’
সদস্য দেশগুলোকে এফএফএসএল বা এর অধীন দলগুলোর সঙ্গে ক্রীড়া-বিষয়ক যোগাযোগ থেকে বিরত থাকতে বলেছে ফিফা।
বর্তমানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ২০৭তম অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা।
এর আগে গত বছর ভারতকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ফিফা, যদিও কিছুদিন পরই সেটি উঠিয়ে নেওয়া হয়। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তান ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল। বাংলাদেশের ওপরও একই কারণে নিষেধাজ্ঞা এসেছিল ২০০২ সালে।