চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা কারা? উত্তরে রিয়াল মাদ্রিদের নামটাই বলতে হবে। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ১৪টি শিরোপা যাদের দখলে, তাদের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার না করে উপায় কী! এমনকি দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসি মিলানের চেয়ে দ্বিগুণ (৭টি) শিরোপা রিয়ালের দখলে।
১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন সংস্করণ শুরু হওয়ার পর থেকে হিসাব করলেও রিয়ালেরই জয়জয়কার। সে সময় থেকে রিয়াল শিরোপা জিতেছে ৮টি। যেখানে নতুন সংস্করণ দূরে থাক, সব মিলিয়েও ৮টি শিরোপা জিততে পারেনি অন্য কোনো ক্লাব।
ফলে শিরোপা জয়ে শ্রেষ্ঠত্ব যাদের, গোল করাতেও তাদের এগিয়ে থাকাটাই স্বাভাবিক। ট্রান্সফারমার্কেটের পরিসংখ্যানও সে কথাই বলছে। ১৯৯২ সালের পর থেকে রিয়াল মাদ্রিদ এখন পর্যন্ত খেলেছে ৩১১ ম্যাচ। যেখানে তাদের গোলসংখ্যা ৬৫৮টি। রিয়াল বেশ বড় ব্যবধানেই এগিয়ে এই তালিকায়।
রিয়ালের ঠিক পরের অবস্থানটি বায়ার্ন মিউনিখের। সব মিলিয়ে ৬ এবং ১৯৯২ সালের পর থেকে ৩ শিরোপা জেতা বায়ার্ন ২৯০ ম্যাচ খেলে করেছে ৫৯৫ গোল। এ তৃতীয় অবস্থানে আছে বার্সেলোনা। আগের সংস্করণের সর্বশেষ শিরোপাটি জিতেছিল বার্সা। এরপর নতুন সংস্করণে কাতালান ক্লাবটি জিতেছে আরও ৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগ। আর এ চার শিরোপা জয়ের পথে ২৯২ ম্যাচে বার্সা গোল করেছে ৫৭৬টি।
চতুর্থ স্থানে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। যারা নতুন সংস্করণে জিতেছে ২টি শিরোপা। যেখানে ২৪৮ ম্যাচে তাদের গোলসংখ্যা ৪২০টি। ইউনাইটেডের মতো দুই শিরোপা জেতা চেলসির অবস্থান ইউনাইটেডের ঠিক পরেই। ১৯৭ ম্যাচে ‘ব্লু’দের গোল ৩৩৪টি।
চেলসির পরের চারটি অবস্থান পোর্তো (৩১৮), আর্সেনাল (২৯৭), পিএসজি (২৮৪) এবং এসি মিলানের (২৭৭)।