কৃষ্ণা রানি সরকার রোমাঞ্চিত জাপানকে পেয়ে
কৃষ্ণা রানি সরকার রোমাঞ্চিত জাপানকে পেয়ে

জাপান আছে বলেই রোমাঞ্চিত কৃষ্ণা

এশিয়ান গেমস ফুটবলে এর আগে কখনোই খেলেনি বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। অভিষেক হবে আগামী সেপ্টেম্বরে চীনের হাংঝু এশিয়ান গেমসে। আর প্রথমবারই কিনা বাংলাদেশের মেয়েদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে জাপানের মতো দলের!

এশিয়াডে ছেলেদের ফুটবল অনেক আগে থেকে অনূর্ধ্ব–২৩ দল নিয়ে হলেও মেয়েদের ফুটবলে খেলছে জাতীয় দলই। সে হিসেবে বিশ্বকাপ খেলা জাপানের বিপক্ষেই খেলতে হবে সাবিনা–কৃষ্ণা–সানজিদাদের। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১১ নম্বর স্থানে থাকা জাপান যেকোনো বিচারে বাংলাদেশের মেয়েদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে কি অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠানরত নারী বিশ্বকাপে স্পেনকে ৪–০ গোলে হারানো জাপান বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য ভীতিরই এক নাম। দলের অভিজ্ঞ ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকার অবশ্য সেভাবে ভাবছেন না। বরং এমন এক প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হওয়াকে রোমাঞ্চকরই মনে হচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এই খেলোয়াড়ের কাছে।

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মাঠে অনুশীলনে জাতীয় ফুটবল দলের মেয়েরা

নতুন কোচ সাইফুল বারী টিটুর অধীনে শেখ জামাল ধানমন্ডি মাঠে আজই প্রথম অনুশীলন করল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। অনুশীলনের পর কৃষ্ণা জানালেন তাঁর জাপান–রোমাঞ্চের কথা, ‘জাপান খুবই শক্তিশালী দল। কতটা শক্তিশালী, সেটা সবাই জানেন, ওরা বিশ্বের ১১ নম্বর দল। ওদের বিপক্ষে এশিয়ান গেমসে খেলতে নামব, আমি এতেই রোমাঞ্চিত।’

এশিয়ান গেমসে জাপান, ভিয়েতনামের মতো প্রতিপক্ষ পেয়ে রোমাঞ্চিত মেয়েরা

ছুটি কাটিয়ে আজ মাঠে ফিরেছেন মেয়েরা। ঘণ্টা দেড়েকের সেশনে হাজির ছিলেন ১৮ ফুটবলার। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে রানিং, স্ট্রেচিংসহ সব অনুশীলনই করেছেন তাঁরা। তবে চোট থাকায় সামান্য স্ট্রেচিং ছাড়া কৃষ্ণা পুরো সময় বলতে গেলে বসেই ছিলেন। জানালেন, আপাতত বিশ্রামে থাকবেন তিনি, ‘হালকা চোট আছে, তাই টিটু স্যার বিশ্রাম নিতে বলেছেন। এশিয়ান গেমসের এখনো বেশ কিছুটা সময় বাকি। আশা করি, চোট কাটিয়ে উঠতে পারব।’

এশিয়াডে শক্ত প্রতিপক্ষের সামনে পড়াকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা কৃষ্ণা বলেছেন, ‘জাপান ছাড়াও গ্রুপে ভিয়েতনাম আছে। ওরাও এবার বিশ্বকাপ খেলছে এবং ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অনেক ওপরে। আমি ওদের বিপক্ষেও খেলার অপেক্ষায় আছি। এমন শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারব, যেটা পরবর্তী সময়ে কাজে লাগবে।’

এশিয়ান গেমসের অনুশীলনের প্রথম দিনে জাতীয় ফুটবল দলের মেয়েরা

অনুশীলনে দলের প্রায় সব খেলোয়াড় যোগ দিয়েছেন। তবে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন যোগ দেবেন আরও দুই দিন পর। জ্বরে ভুগছেন বলে প্রথম দিনের অনুশীলনে ছিলেন না সানজিদাও। আর আনাই মোগিনি দুই দিন ছুটি বাড়িয়েছেন একটি ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিতে।

এশিয়াডে মেয়েদের দলের দায়িত্ব পেলেও কোচ সাইফুল বারীর অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। এ অনিশ্চয়তার মধ্যেই অনুশীলন চালিয়ে যাবেন তিনি। তাঁকে সহযোগিতা করছেন মাহবুবুর রহমান লিটু।