বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ভিন্ন এক রূপে দেখা গিয়েছিল আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে। শান্ত মেজাজের মেসি সেদিন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন।
আর মেসির মেজাজ হারানোর সে রাতে ম্যাচটাও হয়ে উঠেছিল পাগলাটে। সেই ম্যাচে রেফারিকে কার্ড বের করতে হয়েছিল ১৮ বার। সেদিন ডাচ কোচ লুইস ফন গালকে উদ্দেশ করে উদ্দাম উদ্যাপন আর ম্যাচ শেষে এক ডাচ খেলোয়াড়কে বকা দিয়ে খবরের শিরোনাম হন মেসি।
সেদিন মেসির এমন আচরণই শুধু নয়, মাঠেও তাঁকে সামলাতে গিয়ে নাকাল হয়েছিলেন ডাচ ফুটবলাররা। নাহুয়েল মলিনার গোলে মেসির দেওয়া পাসটি ছিল অনেক দিন মনে রাখার মতো। পরে পেনাল্টি থেকে নিজেও একটি গোল করেন। এবার বিশ্বকাপের সেই ম্যাচের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন ডাচ ডিফেন্ডার জুরিয়েন টিম্বার। বলেছেন, সেদিন মেসির মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল ভীতিকর।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ৭৩ মিনিটের মধ্যে ২–০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। তবে ৮৩ মিনিট ও যোগ করা সময়ের দুই গোলে সমতা ফেরান নেদারল্যান্ডসের ভাউট ভেগহোর্স্ট। এরপর অতিরিক্ত সময়েও আর কোনো গোল না হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ডাচদের ৪–৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা।
রুদ্ধশ্বাস সেই ম্যাচে মেসির মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে আয়াক্সের ২১ বছর বয়সী ডিফেন্ডার টিম্বার বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে মেসির মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা? মেসি ভীতিকর ছিলেন।’
মেসি কোন জায়গায় অন্যদের চেয়ে আলাদা, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন টিম্বার, ‘দেখা গেল, মেসি একটি বাজে পাস পেয়েছেন। আপনি ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে চাপে ফেলে তাঁর কাছ থেকে সেটি কেড়ে নিতে চাইলেন। কিন্তু প্রথম স্পর্শেই মেসি সেই বাজে পাসটিকে ভালো করে ফেলতে পারেন। মুহূর্তের মধ্যে বল পুরোপুরি তাঁর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এটা অবিশ্বাস্য।’