কিলিয়ান এমবাপ্পে কি পিএসজি ছাড়বেন, ছাড়লে কোথায় যাবেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড—দলবদলের মৌসুম এলেই ফিরে ফিরে আসে প্রশ্নগুলো। এবারও যেমন এসেছে। সর্বশেষ তো পিএসজি এমবাপ্পেকে ছাড়াই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে সেই প্রশ্নকে আরও উসকে দিয়েছে।
এমবাপ্পে শেষ পর্যন্ত প্যারিসে থাকবেন, নাকি থাকবেন না কে জানে! তবে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধারণা, প্যারিসে পড়ে থাকলে কখনোই নিজেকে সর্বকালের সেরাদের কাতারে নিয়ে যেতে পারবেন না এমবাপ্পে। গত বিশ্বকাপে ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা তারকার কোথায় যাওয়া উচিত, সেটিও বলে দিচ্ছেন তাঁরা।
সেই শুভাকাঙ্ক্ষীদের একজন রিস্তো স্তইচকভ। ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপ মাতানো বুলগেরিয়ার সাবেক খেলোয়াড়ের মতে, এমবাপ্পের লা লিগা অথবা প্রিমিয়ার লিগে চলে যাওয়া উচিত। নিজে একটা সময় স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় খেলেছেন, সেই অভিজ্ঞতা থেকেই পরামর্শ দিয়েছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
স্ট্যাটস পারফর্ম নামের একটি ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইটে এমবাপ্পেকে নিয়ে কথা বলেছেন স্তইচকভ। সেখানে ২৪ বছর বয়সী এমবাপ্পেকে নিয়ে কথা বলেছেন স্তইচকভ, ‘সে অসাধারণ এক খেলোয়াড়। ক্যামেরার অন্তরালে আমরা কথা বলেছি। সে আমাকে বলেছে, তার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হলো ব্যালন ডি’অর জেতা। তার মানের খেলোয়াড় হওয়া খুবই কঠিন, আরও বেশি কঠিন হলো ওই মান ধরে রাখা।’
পিএসজি যে এমবাপ্পেদের নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছিল, সেটিও বলেছেন স্তইচকভ, ‘বস্তুত পিএসজি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে তাকে, মেসিকে, নেইমারকে, সের্হিও রামোসকে ও দোন্নারুম্মাকে দলে নিয়েছিল, কিন্তু হয়নি।’
এরপরই এমবাপ্পেকে পরামর্শ দিলেন কী করা উচিত তা নিয়ে, ‘এমবাপ্পে যদি আরও ভালো করতে চায়, তবে তার স্প্যানিশ লিগ কিংবা প্রিমিয়ার লিগে যেতে হবে। ইংল্যান্ডে তাকে দলে টানতে ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল ও আর্সেনালের মতো ক্লাব আছে। তবে তার উচিত হবে যেখানে সে সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে, সেখানেই যাওয়া। কারণ, কাজটা সহজ নয়। অনেক চাপ থাকবে, ওই চাপ নিয়েই তাকে এগিয়ে যেতে হবে।’
‘কিলিয়ান দারুণ এক মানুষ, খুবই বিনয়ী। কেউ কেউ বলে, সে নাকি উদ্ধত, কিন্তু সে তেমন নয়। সে জানে সে কী করতে চায়। আশা করছি এক দিন না একদিন কিলিয়ান ব্যালন ডি’অর জিততে পারবে, এটা তার প্রাপ্য।রিস্তো স্তইচকভ, বুলগেরিয়ার ফুটবল কিংবদন্তি
অনেকের চোখেই এমবাপ্পে উদ্ধত বেয়ারা এক খেলোয়াড়। তবে স্তইচকভ জানিয়ে দিলেন, তিনি সেই দলে নেই, ‘কিলিয়ান দারুণ এক মানুষ, খুবই বিনয়ী। কেউ কেউ বলে, সে নাকি উদ্ধত, কিন্তু সে তেমন নয়। সে জানে সে কী করতে চায়। আশা করছি এক দিন না একদিন কিলিয়ান ব্যালন ডি’অর জিততে পারবে, এটা তার প্রাপ্য।’
আগামীর সেরা হতে এমবাপ্পেকে কাদের সঙ্গে লড়াই করতে হবে, তা নিয়েও ধারণা দিয়েছেন স্তইচকভ, ‘আমার সময়ে রবার্তো বাজ্জো, লাউড্রপ, আমি, মিশেল, বুত্রাগুয়েনো, ক্লিন্সমান ও ম্যাথাউসের মতো বড় খেলোয়াড় ছিল। এরপর এল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো দুই ফেনোমেনা, যাদের লড়াইটা চিরন্তন। আর এখন আসছে একঝাঁক দারুণ খেলোয়াড়—হলান্ড, এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস, পেদ্রি, গাভি। সামনের বছরগুলোতে হলান্ড, এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুসদের মধ্যে দারুণ লড়াই হবে। এরাই সামনে পার্থক্য গড়ে দেবে।’