ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা
ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মার্তা

বিদায়ের ইঙ্গিত দিয়ে মার্তা বললেন, ‘আমি গর্বিত’

সর্বকালের অন্যতম সেরাদের একজন হয়েও কখনো বিশ্বকাপ কিংবা অলিম্পিকে সোনা জেতা হয়নি মার্তার। শেষ বেলায় চেয়েছিলেন প্যারিস অলিম্পিকের সোনা জিতে আক্ষেপ ঘোচাতে। কিন্তু সেই আক্ষেপ আর দূর হলো না। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফাইনালে ১–০ গোলে হেরে হতাশা নিয়েই বিদায় নিতে হলো ব্রাজিলের কিংবদন্তি নারী ফুটবলারকে।

তৃতীয়বারের মতো জিতলেন অলিম্পিক ফুটবলের রুপা। প্যারিসে পা রাখার আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এটাই তাঁর শেষ টুর্নামেন্ট। গতকাল অলিম্পিকে রুপার পদক জেতার পর ৩৮ বছর বয়সী মার্তা একই কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, এটিই সম্ভবত তাঁর শেষ আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিযোগিতা। এরপর আর কোনো বড় টুর্নামেন্টে হয়তো দেখা যাবে না তাঁকে।

ছয়বারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় মার্তা নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, আপনারা আমাকে আবারও বিশ্বকাপে দেখতে পাবেন। আমি জানি না কী হবে, কিংবা জাতীয় দলের পরিকল্পনা কী। কিন্তু আমার পরিকল্পনা হচ্ছে, যেকোনোভাবে দলকে সাহায্য করে যাওয়া। কারণ, এটাই আমার জীবন।’

২০২৭ সালে মার্তার দেশ ব্রাজিলে হবে পরবর্তী নারী বিশ্বকাপ। সেখানে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনা হচ্ছিল। তবে বাস্তবতা যে কঠিন, মার্তা নিজেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। নিজের সেরা সময় পেছনে ফেলে আসা মার্তার বয়স এখন ৩৮। তিন বছর পর বিশ্বকাপের সময় তাঁর বয়স হবে ৪১ বছর। সে সময় শারীরিকভাবে পুরোপুরি ফিট থেকে খেলা চালিয়ে যাওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিংই বটে।

বল নিয়ে ছুটছেন মার্তা

খেলোয়াড় হিসেবে না থাকতে পারলেও ভিন্ন ভূমিকায় দলের সঙ্গে থাকার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এই ফুটবলার, ‘আমি ফুটবল থেকে হারিয়ে যাব না। আমি চেষ্টা করব, কোনোভাবে দলকে সাহায্য করতে।’

প্যারিসে সোনা জয়ের স্বপ্ন পূরণ না হলেও দল যেভাবে লড়াই করেছে, তা নিয়ে গর্বিত মার্তা, ‘এই প্রতিযোগিতায় আমরা যা করেছি, দল নিয়ে গর্বিত। এটা খুবই কঠিন টুর্নামেন্ট ছিল। প্রতি দুই দিন পরপর ম্যাচ এবং চোটও ছিল অনেক। এরপরও ফাইনালে আসার জন্য আমরা নিজেদের ছাড়িয়ে গেছি এবং নিজেদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য অর্জন করেছি, যা ছিল একটি পদক নিয়ে আসা।’

পেশাদার ফুটবলে প্রায় দুই যুগ কাটিয়ে দিয়েছেন মার্তা। হয়ে উঠেছেন নারী ফুটবলের ‘পোস্টার গার্ল’। খেলাটিতে নিজের অবদান নিয়ে মার্তা বলেছেন, ‘আমি এমন কিছু নিয়ে ২০ বছর কাটিয়েছি, যা আমি ভালোবাসি। এমন একটি খেলা খেলেছি, যেখানে মেয়েদের সব সময় দেখা যেত না। এখন আমরা বলতে পারি, সবচেয়ে বেশি যে খেলাগুলো অনুসরণ করা হয়, এটি তার একটি। কাউকে না কাউকে প্রক্রিয়াটা শুরু করতে হয়। এই জায়গায় অবদান রাখতে পেরে আমি গর্বিত।’