লম্বা সময় ধরে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দ্বৈরথ ফুটবল রোমান্টিকদের দারুণ আনন্দ দিয়ে গেছে। তবে সব ভালো কিছুই নাকি কখনো না কখনো শেষ হতে হয়। সে নিয়ম মেনে ইতিমধ্যে প্রায় শেষ দেখে ফেলেছে মেসি–রোনালদোর এই লড়াই। তবে প্রকৃতি নাকি কখনো শূন্যস্থান পছন্দ করে না।
এখন নতুন দিনের ফুটবলীয় দ্বৈরথ হিসেবে দেখা হচ্ছে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আর্লিং হলান্ডকে। এ মৌসুমে ক্লাব ফুটবল বিরতিতে যাওয়ার আগপর্যন্ত দারুণভাবে লড়েছেন এ দুজন। হলান্ড অবশ্য এমবাপ্পের সঙ্গে দ্বৈরথ নিয়ে একেবারেই ভাবছেন না। মেসি–রোনালদোর দ্বৈরথের প্রশংসা করলেও এমবাপ্পের সঙ্গে নিজের লড়াই নিয়ে ভাবতে চান না নরওয়েজীয় এই স্ট্রাইকার।
এমবাপ্পের সঙ্গে ভবিষ্যতের দ্বৈরথ নিয়ে হলান্ড বলেছেন, ‘আমি নিজেকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করতে পছন্দ করি না। আমি মনে করি, আপনাকে নিজের মতো হতে হবে। তাই আমি তুলনা বা এমন কিছু পছন্দ করি না।’
এ সময় মেসি–রোনালদোর দ্বৈরথের কথাও মনে করিয়ে দেন এই ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড। তিনি আরও যোগ করে বলেছেন, ‘১০ বছর ধরে সংবাদমাধ্যমগুলো মেসি ও রোনালদোকে নিয়ে এমনটা করেছিল। আমার মনে হয়, এটা তাদের আরও ভালো কিছু করার জন্য প্ররোচিত করেছে। এটা ইতিবাচক ব্যাপার। বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ একে অপরের বিপক্ষে ছিল। এটা সঠিক দ্বৈরথ ছিল। তবে সত্যি কথা আমি এটা নিয়ে ভাবি না।’
তবে এর আগে সামনের দিনগুলোতে এমবাপ্পে–হলান্ডের লড়াই জমে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা মার্সেল দেশাই। বিশ্বকাপে দারুণ নৈপুণ্য দেখানো এমবাপ্পেকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘দারুণ ব্যাপার হচ্ছে, এমবাপ্পে একেবারে আলাদা খেলোয়াড়। তার স্টাইল মেসি–রোনালদোর চেয়ে ভিন্ন। সে ভিন্ন প্রজন্মের খেলোয়াড়। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে তাকে দুই পাগলাটে খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করা সম্ভব না। তবে এমবাপ্পেও এসব অর্জন করতে পারে। সে ভিন্ন ধরনের খেলোয়াড়। আপনি যদি গতির দিকে তাকান, যে গতিতে সে ছোটে তা অসাধারণ। হলান্ডের সঙ্গে মিলে সে সম্ভবত এই প্রজন্মের দুই সেরা খেলোয়াড়।’