বায়ার্ন কোচ হিসেবে তিন বছরের চুক্তি করেছেন ভিনসেন্ট কোম্পানি
বায়ার্ন কোচ হিসেবে তিন বছরের চুক্তি করেছেন ভিনসেন্ট কোম্পানি

কোচ হিসেবে কোম্পানিকে বেছে নিল বায়ার্ন

নতুন কোচ হিসেবে ভিনসেন্ট কোম্পানির নাম ঘোষণা করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মান ক্লাবটি জানিয়েছে, আগামী তিন বছরের জন্য বায়ার্নের কোচ হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কোম্পানি।

সাবেক বেলজিয়ান ডিফেন্ডার কোম্পানির এটি কোচ হিসেবে তৃতীয় চাকরি। এর আগে নিজ দেশের আন্ডারলেখট ও ইংল্যান্ডের বার্নলির ডাগআউটে ছিলেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে বার্নলি প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত হয়ে চ্যাম্পিয়নশিপে নেমে যায়। তবে বার্নলিকে ক্ষতিপূরণ দিয়েই কোম্পানিকে মিউনিখে নিয়ে এসেছে বায়ার্ন।

৩৮ বছর বয়সী কোম্পানি এমন সময়ে বায়ার্নের দায়িত্ব নিয়েছেন, যখন গত এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে বাজে মৌসুম পার করেছে দলটি। ২০১১ সালের পর এবারই প্রথম বুন্দেসলিগা জিততে পারেনি বায়ার্ন। বায়ার্ন ব্যর্থ হয়েছে জার্মান সুপার কাপ, ডিএফবি পোকাল ও চ্যাম্পিয়নস লিগেও।

এই ব্যর্থতার মধ্যেই ফেব্রুয়ারিতে টমাস টুখেল ও ক্লাব মৌসুম শেষে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়। গত তিন মাসে পরবর্তী কোচ হিসেবে বেশ কয়েকজনকে বিবেচনায় নিয়েছিল বায়ার্ন। এর মধ্যে বায়ার লেভারকুসেনের জাবি আলোনসো, সাবেক কোচ ইউলিয়ান নাগলসমান এবং রালফ রাংনিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা রাজি হননি। টুখেলকে আরও এক মৌসুম রেখে দেওয়ার আলোচনাও বেশি দূর এগোয়নি।

শেষ পর্যন্ত বার্নলি কোচ কোম্পানির দ্বারস্থ হয় বায়ার্ন। ২০২২ সালে বার্নলির দায়িত্ব নিয়েই দলটিকে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে প্রিমিয়ার লিগে ওঠান কোম্পানি। যদিও ২০২৩-২৪ মৌসুমে ১৯তম হয়ে আবারও নেমে গেছে তারা। ২০২৮ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাকি থাকায় কোম্পানির জন্য বার্নলিকে ক্ষতিপূরণ দিতেও রাজি হয় বায়ার্ন। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ১ কোটি ২৭ ডলার বলে জানিয়েছে ইএসপিএন।

বায়ার্ন মিউনিখের সিইও ও দুই স্পোর্টিং ডিরেক্টরের সঙ্গে ভিনসেন্ট কোম্পানি (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)

আজ ক্লাব ওয়েবসাইটে কোম্পানির নিয়োগের বিষয়টি জানিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ সিইও ইয়ান-ক্রিস্টিয়ান ড্রেসেন বলেন, ‘আমাদের ক্লাবের সবাই একমত যে, ভিনসেন্ট কোম্পানিই কোচ হিসেবে সঠিক ব্যক্তি, যার সঙ্গে আমরা কাজ করতে চাই।’

চার বছর আগে খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে ইতি টানা কোম্পানি জার্মানির সবচেয়ে সফল দলটির দায়িত্ব নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘আন্তর্জাতিক ফুটবলে বায়ার্ন মিউনিখ একটি প্রতিষ্ঠান, আমি এর অংশ হতে পেরে সম্মানিতবোধ করছি। আমি এখন ফুটবলের গোড়ার দিকটিতেই মনোযোগ দেব—খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করা, দল তৈরি করা। ভিত্তিটা তৈরি হলে সফলতা আসবেই।’