সৌদি প্রো লিগের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে চাপে ছিল আল নাসর। আরও ভেঙে বললে চাপটা মূলত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ওপরই ছিল। সব প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতেই তো নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে! সেই চাপই হয়তো ভেতরে-ভেতরে তাতিয়ে দিয়েছিল রোনালদোকে, যার পুরো ঝড় গেল আল ফাতেহর ওপর। আল নাসরের কাছে ৫-০ গোলে উড়ে গেছে তারা।
আল নাসরের এই জয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন রোনালদো। এটি রোনালদোর ক্যারিয়ারে ৬৩তম এবং চলতি মৌসুমের প্রথম হ্যাটট্রিক। হ্যাটট্রিক করে দলকে জিতিয়ে ম্যাচে শেষে অবশ্য কৃতিত্বটা পুরো দলকেই দিয়েছেন রোনালদো। একই সঙ্গে সৌদি আরবে ফুটবল খেলতে এসে নিজের উচ্ছ্বাসের কথাও জানিয়েছেন রোনালদো।
দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকের পর রোনালদো নিজের অনুভূতি জানাতে বেছে নেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে। যেখানে গোল উদ্যাপনের একাধিক ছবি পোস্ট করে রোনালদো ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আরেকটি অবিশ্বাস্য দলীয় প্রচেষ্টা। এগিয়ে চলো আল নাসর।’
রোনালদোর হাত ধরেই মূলত জেগে উঠেছে সৌদি ফুটবল। বিশ্বের সেরা তারকাদের অনেকেই তাঁর পথ–পদছাপ অনুসরণ করে এখন সৌদি আরবে পাড়ি জমাচ্ছেন, যা লিগটিকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলছে। বিষয়টি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত রোনালদো বলেছেন, ‘সৌদি আরবে আমার আনন্দের কোনো সীমা নেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সৌদি লিগ বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ লিগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত। এই অনুভূতি আমি গত বছরই ব্যক্ত করেছিলাম। অসাধারণ সব প্রতিভা এই লিগের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে, এর সাক্ষী হওয়া দারুণ ব্যাপার!’
সৌদি আরবে রীতিমতো রাজকীয়ভাবে দিন যাপন করছেন রোনালদো। পেয়েছেন বিলাসবহুল দারুণ সব সুযোগ-সুবিধাও। সৌদি সরকারের কাছ থেকেও দারুণ আতিথেয়তা পাচ্ছেন এই পর্তুগিজ মহাতারকা। মাঠের বাইরে এসব অভিজ্ঞতা মাঠে আরও বেশি কিছু দেওয়ার জন্য তাতিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন রোনালদো, ‘আন্তরিকভাবে আতিথেয়তার জন্য সৌদি রাজ্যের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। এখানে এসে আমি খুব খুশি, আর এই আনন্দ সৌদি লিগের জন্য সেরাটা দেওয়ার তাগিদকে আরও বাড়িয়ে দেয়।’
আল নাসরের এসে শুরুর সময়টা ভালো না গেলেও নতুন মৌসুমের শুরুতে অনেকটা একক কৃতিত্বে দলকে শিরোপা জিতিয়েছেন রোনালদো। আল নাসর তুলেছেন এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের মূল পর্বেও। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে রোনালদোর মূল্যায়ন এমন, ‘আমরা এখন ধারাবাহিকভাবে উন্নতির পথে আছি। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের প্রচেষ্টাতেই আমরা অসাধারণ একটা ম্যাচ খেলেছি।’