জুভেন্টাস সমর্থকদের ওপর ক্ষুব্ধ আনহেল দি মারিয়া
জুভেন্টাস সমর্থকদের ওপর ক্ষুব্ধ আনহেল দি মারিয়া

‘ভাড়াটে’ বলায় জুভেন্টাস সমর্থকদের দি মারিয়া, ‘আপনারা সুসময়ের বন্ধু’

জুভেন্টাসের সময়টা বড্ড খারাপ যাচ্ছে। দলবদলের চুক্তি ও অর্থ নিয়ে মিথ্যাচার করায় তাদের ১০ পয়েন্ট কেটে নিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের আপিল বিভাগ।

ইতালিয়ান ফুটবলে অন্যতম সফল ক্লাবটির জন্য এটা বিশাল ধাক্কা। ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তে আগামী মৌসুমে জুভেন্টাসের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা নিয়ে শঙ্কা প্রকট হয়েছে। ১০ পয়েন্ট কেটে নেওয়ার পর সিরি ‘আ’ পয়েন্ট তালিকায় জুভেন্টাসের পয়েন্ট এখন ৫৯। লিগে অবস্থান সপ্তম।

বিষয়টি জুভেন্টাসের সমর্থকদের মনে ঝড় তুলছে। ক্লাবের চরম দুঃসময়ে তাঁদের সবার মন খারাপ, হতাশাগ্রস্তও। সেই হতাশা থেকেই আনহেল দি মারিয়াকে আক্রমণ করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ইনস্টাগ্রামে সাধারণ একটা পারিবারিক ছবি পোস্ট করেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা। কিন্তু জুভেন্টাস সমর্থকদের তা ভালো লাগেনি। ক্লাবের এমন দুঃসময়ে দি মারিয়া কীভাবে এত খুশি থাকতে পারেন, প্রশ্ন জুভেন্টাসের সমর্থকদের।

২০২২–২৩ মৌসুমে জুভেন্টাসে যোগ দেন দি মারিয়া

নিরীহ ছবিটি দিয়ে ইনস্টাগ্রামে দি মারিয়া স্ত্রী–কন্যাদের উদ্দেশে লিখেছিলেন, ‘সব সময়ই আমার সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ। পারিবারিক জীবনের ভালোবাসা যে একজন মানুষের জীবনে কতটা জরুরি, সেটি আমাকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি আমার পরিবারকে জীবনের মতোই ভালোবাসি।’

কিন্তু ইনস্টাগ্রামের এই পোস্টের নিচে এসে জুভেন্টাসের উগ্র সমর্থকেরা দি মারিয়ার সমালোচনা করতে থাকেন। কেউ কেউ লেখেন, ‘তুরিন থেকে সোজা বেরিয়ে যাও। তুমি আর লিয়ান্দ্রো পারেদেস হচ্ছে দুই ভাড়াটে খেলোয়াড়। দলের প্রতি তোমাদের কোনো টান নেই। তোমরা জানো না, জুভেন্টাসের জার্সির মানেটা কী!’

ভক্তদের কাছ থেকে এমন মন্তব্য পেয়ে অবশ্য নিজেকে সামলাতে পারেননি দি মারিয়া। কড়া জবাবই দিয়েছেন। একজনকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘আমার তো মনে হয়, জুভেন্টাসের জার্সির মর্ম আপনিই ঠিকভাবে বোঝেন না। আপনারা হচ্ছেন সুসময়ের বন্ধু। খেলোয়াড়েরা ঠিকই আছে। আমরা দলের জন্য উজাড় করে দিই। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত খেলি। কিন্তু আপনারা শুধু সুসময়ে দলের সঙ্গে থাকেন। তারপরও আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই।’

দি মারিয়ার স্ত্রী জর্জেলিনা কারদোসোও চুপ থাকেননি। স্বামীর সঙ্গে এসে তুলাধোনা করেছেন উগ্র সমর্থকদের। তিনি লিখেছেন, ‘আমার স্বামী তো কোচ নয়, ক্লাবের কর্মকর্তাও নয়। সে দলও বানায় না। তার কাজ খেলা। সে কখনোই নিজেকে আড়াল করে রাখে না। দয়া করে চুপ থাকুন। আমার কাছে মনে হয়, হয় আপনারা বোকা অথবা অতি চালাক! আপনারা কি এ জন্য টাকা পান?’