কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি এক মাসের কিছু বেশি সময়। এমন সময়ে একের পর এক চোটের খবর আর্জেন্টিনা দলে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে চোটে পড়েছেন পাওলো দিবালা ও আনহেল দি মারিয়া। পায়ের পেশির সমস্যায় পিএসজির দুটি ম্যাচ মিস করেছেন লিওনেল মেসিও।
চোটের এই ‘মিছিল’ নিয়ে চিন্তিত আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসি। সেটি নিজেকে নিয়ে নয়। পিএসজির সামনের ম্যাচেই মাঠে ফিরতে প্রস্তুত তিনি। কিন্তু দি মারিয়া আর দিবালারা এত দ্রুত ফিরতে পারছেন না। সাধারণত বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় বছরের মাঝামাঝিতে, ক্লাব ফুটবলের মৌসুম শুরুর আগে। কিন্তু কাতারে বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ফুটবল মৌসুম শুরু হয়ে যাওয়ার পর, নভেম্বর–ডিসেম্বরে। সব ফুটবলার ক্লাবের হয়ে মাঠে থাকায় চোটের ঝুকিও তাই বাড়ছে।
দি মারিয়া, দিবালাদের চোট তাই মেসিকে ভাবিয়ে তুলছে, ‘এটা চিন্তার বিষয়। ভিন্ন একটি বিশ্বকাপ, ভিন্ন সময়ে খেলা। বিশ্বকাপ এতটাই কাছে চলে এসেছে যে এখন যেকোনো ছোট কিছুর কারণেও বিশ্বকাপ থেকে বেরিয়ে যেতে হতে পারে।’
তবে চোট নিয়ে চিন্তিত থাকাও কাজের কিছু নয় বলে বিশ্বাস মেসির, ‘চোটের ব্যাপারটা ভীতি জাগায়। তবে এটা নিয়ে চিন্তা করাটাও ভালো কিছু নয়। যা করা যায়, সেটা হচ্ছে সব সময়ের মতো স্বাভাবিক থাকা, খেলতে থাকাটাই সেরা উপায়।’
গত রোববার সিরি ‘আ’তে লিসের বিপক্ষে পেনাল্টি নিতে গিয়ে চোটে পড়েন রোমা মিডফিল্ডার দিবালা। বাঁ ঊরুর পেশিতে টান পড়ায় মাঠেই কাতরাতে দেখা যায় তাঁকে। পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর জানা যায়, মাসখানেকের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে দিবালাকে। কাতার বিশ্বকাপও মিস করতে পারেন তিনি। দিবালার দুই দিন পর চোট পান জুভেন্টাসে খেলা দি মারিয়া। চ্যাম্পিয়নস লিগে মাকাবি হাইফার বিপক্ষে ঊরুতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। জুভেন্টাস জানিয়েছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মাঠের বাইরে থাকতে হবে দি মারিয়াকে।
মেসি অবশ্য দুজনকেই বিশ্বকাপে পেতে আশাবাদী। ডিরেকটিভি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেন, ‘আশা করছি, দুজনই বিশ্বকাপের আগে সুস্থ হয়ে উঠবে। এখনো ভালো সময় আছে। সবাই সুস্থ শরীরে বিশ্বকাপে নামতে পারব বলে আশা রাখছি।’
কাতারে বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ২০ নভেম্বর। আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ ২২ নভেম্বর সৌদি আরবের বিপক্ষে। ‘সি’ গ্রুপে মেসিদের অপর দুই প্রতিপক্ষ মেক্সিকো ও পোল্যান্ড।