অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সর্বশেষ ২০ ম্যচে কোনো হার নেই বার্সেলোনার। বিলবাওয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অপরাজেয় এ যাত্রাটা অব্যাহত রেখেছে ক্যাম্প ন্যুয়ের দলটি। আজ বিলবাওকে ৪–০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে জাভি হার্নান্দেজের দল। ৪ গোলের প্রতিটিতেই ছোঁয়া ছিল দেম্বেলের। একটি গোল তিনি নিজে করেছেন, অন্য তিনটি গোলে করেছেন সহায়তা।
ক্যাম্প ন্যুয়ে বিলবাওয়ের বিপক্ষে অপ্রতিরোধ্য গতিটা ধরে রাখতেই কি না আজ ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ তৈরি করতে থাকে বার্সেলোনা। ১২ থেকে ২২—এই ১০ মিনিটে তো যেন বিলবাওয়ের ওপর একটা ঝড়ই বইয়ে দেয় জাভির দল।
১২ মিনিটে বার্সেলোনার প্রথম গোলটি করেন উসমান দেম্বেলে। ১১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির বাঁকানো শট নেন তিনি। সেটি কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন বিলবাওয়ের গোলকিপার উনাই সিমোন। ফিরে আসা বল পেয়ে যান রবার্ট লেভানডফস্কি। গোলে শট না নিয়ে তিনি পাস দেন দেম্বেলেকেই। কাছ থেকে বল জালে জড়ান ফরাসি ফরোয়ার্ড।
রেফারি অবশ্য নিশ্চিত ছিলেন না, ফিরে আসা বলটি পাওয়ার সময় লেভানডফস্কি অফসাইডে ছিলেন কি না। সিদ্ধান্ত নিতে ভিএআরের সাহায্য নেন রেফারি। ভিএআর দেখার পর অবশ্য গোলের সিদ্ধান্তই দেন তিনি।
১৮ মিনিটে বার্সেলোনার দ্বিতীয় গোলটিতেও জড়িয়ে আছেন দেম্বেলে। এবার অবশ্য তিনি গোলদাতা নন, সের্হিও রবার্তোর গোলটিতে সহায়তা তাঁর। বিলবাওয়ের অর্ধে বল পেয়ে দেম্বেলের সঙ্গে পাস দেওয়া–নেওয়া করে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন রবার্তো। তাঁর নেওয়া শট জালে ঢোকার আগে অবশ্য বিলাওয়ের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগেছিল।
৪ মিনিট পর স্কোরশিটে নাম লেখান লেভানডফস্কি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সার হয়ে লেভার ১৮তম গোলটিতে সহায়তা করেছেন দেম্বেলে। দ্বিতীয়ার্ধে গোলে সহায়তার হ্যাটট্রিক করেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সাবেক ফরোয়ার্ড।
ডান প্রান্তে বিলবা্ওয়ের অর্ধে বল পেয়ে ড্রিবলিং করে সামনে এগিয়ে যান দেম্বেলে। কিছুদূর এগিয়ে তিনি দেখতে পান বক্সের কাছাকাছি ফাঁকায় থাকা ফেরান তোরেসকে। দেম্বেলের রক্ষণচেরা এক পাসে বল পেয়ে যান তিনি। ৭৩ মিনিটে সহজেই বল জালে জড়ান বদলি হিসেবে নামা তোরেস।
বিলবাওয়ের বিপক্ষে অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রাখার সঙ্গে আরও একটি ধারা ধরে রেখেছে বার্সেলোনা। এই নিয়ে টানা ৬ ম্যাচে ঘরের মাঠে কোনো গোল খায়নি জাভির দল। জাভির অধীনে ঘরের মাঠে টানা গোল না খাওয়ার সবচেয়ে লম্বা সময় পার করল বার্সেলোনা।
বিলবাওয়ের বিপক্ষে জয়ের পর ১১ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বার্সেলেনা। সমান ম্যাচে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৩১।