রিও ডি জেনিরোর একটি বিচারিক আদালতের নির্দেশে গত ডিসেম্বরের শুরুতে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এদনালদো রদ্রিগেজকে। যেহেতু ফিফার আইন অনুযায়ী সদস্য অ্যাসোসিয়েশনে বাইরের হস্তক্ষেপ অবৈধ, তাই সে মাসের শেষ দিকে সিবিএফে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল ফুটবলের নিয়ন্ত্রক এই সংস্থা। সে চিঠিতে সিবিএফকে নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়েছিলে ফিফা ও কনমেবল। কিন্তু গতকাল ফিফার আইনি বিভাগের পরিচালক এমিলিও গার্সিয়া জানিয়েছেন, সিবিএফ সভাপতি পদে এদনালদো রদ্রিগেজ ফেরায় তাদের আর নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা নেই।
গত ৭ ডিসেম্বর এদনালদো রদ্রিগেজকে সিবিএফ সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন রিও ডি জেনিরোর আদালত। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন একজন সভাপতিও নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সিবিএফের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্কের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আদালত। ফিফা এরপর সিবিএফকে পাঠানো চিঠিতে বলেছিল, দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল) এবং ফিফার গঠন করা কমিশন সিবিএফ পরিদর্শনের পরই কেবল নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
কিন্তু গত সপ্তাহে ব্রাজিলের উচ্চ আদালতের বিচারক গিলমার মেন্দেজ রদ্রিগেজকে সিবিএফ সভাপতির পদে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন। মেন্দেজ যুক্তি দিয়েছিলেন, আদালতের মাধ্যমে এদনালদো রদ্রিগেজকে সরিয়ে দিলে ফিফার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে ব্রাজিল ফুটবল। তাতে ব্রাজিল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না এবং দেশের ফুটবলের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ফিফার আইনি বিভাগের পরিচালক এমিলিও গার্সিয়া এ বিষয়ে বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের (উচ্চ আদালত) সিদ্ধান্তে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এদনালদোকে সভাপতি পদে পুনর্বহাল করেছে। আগের পথে অর্থাৎ ব্রাজিল যেভাবে সভাপতি নির্বাচন করে, সেই পথে ফিরতে পেরে আমরা আনন্দিত। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে ছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবল। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর সেই সম্ভাবনা আর রইল না।’
সিবিএফ সভাপতি এদনালদো সমর্থন দেওয়ার জন্য ফিফা ও কনমেবলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ‘এটাই সেই মুহূর্ত, যখন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরল। সূচি অনুযায়ী সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। এখন থেকে আমরা ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের উন্নতিতে মনোনিবেশ করতে চাই। আমি স্বচ্ছভাবে নির্বাচিত হয়েছি। যখন স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত হয় তখনই জিতে যায় ব্রাজিলিয়ান ফুটবল। ব্রাজিলের ক্লাব ও জাতীয় দল এখন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত।’
ফিফার আইনি বিভাগের পরিচালক এমিলিও গার্সিয়া এ বিষয়ে বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের (উচ্চ আদালত) সিদ্ধান্তে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এদনালদোকে সভাপতি পদে পুনর্বহাল করেছে। আগের পথে অর্থাৎ ব্রাজিল যেভাবে সভাপতি নির্বাচন করে, সেই পথে ফিরতে পেরে আমরা আনন্দিত। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে ছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবল। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর সেই সম্ভাবনা আর রইল না।’
মাঠে ব্রাজিল দলের পারফরম্যান্স তেমন ভালো নয়। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে ব্রাজিল। উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার কাছে হেরেছে টানা তিন ম্যাচ। মাঠের বাইরেও ভালো সময় যাচ্ছে না ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে। এদনালদো রদ্রিগেজ সভাপতি পদে ফিরে গত শুক্রবার জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ফার্নান্দো দিনিজকে ছাঁটাই করেন। তাঁর জায়গা নেবেন সাও পাওলোর সাবেক কোচ দরিভাল জুনিয়র। বুধবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।