স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন আরএফইএফ দেখভালের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে স্পেন সরকার। দেশটির জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি) জানিয়েছে, ‘ফেডারেশনে চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায়’ সরকার কমিটি গঠন করেছে, যা নতুন নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।
ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুসারে, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। এ ধরনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দেশকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে। ফিফা এবং ইউরোপের ফুটবল কর্তৃপক্ষ উয়েফা জানিয়েছে, স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের ‘পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হচ্ছে’।
স্পেনের ফুটবলে অস্থিরতা চলছে কয়েক মাস ধরেই। গত বছর চুমু–কাণ্ডের জেরে আরএফইএফ প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে আটকও হন তিনি। স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি বৃহস্পতিবার বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণার বিবৃতিতে লিখেছে, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এই কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’
স্পেন সরকারের বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। সংস্থা দুটির এক যৌথ বিবৃতিতে পরিস্থিতি মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’
রয়টার্স জানিয়েছে, আরএফইএফের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট পেদ্রো রোচা রুবিয়ালেসের উত্তরসূরি হওয়ার পথে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে তিনিও এখন বেকায়দায় আছেন। গত মাসে এক সাক্ষীর আদালতে জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকেও তদন্তের আওতায় এনেছেন এক বিচারক। রোচার বিরুদ্ধে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কোর্ট অব স্পোর্টের রায় আসার আগে সিএসডিও পদক্ষেপ নিতে পারে, তবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০২৩ সালে ফিফা নারী বিশ্বকাপ জেতা স্পেন ২০৩০ সালে পুরুষদের ফিফা বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক।