প্রদর্শনী ম্যাচে ভিনিসিয়ুস ও দিবালা
প্রদর্শনী ম্যাচে ভিনিসিয়ুস ও দিবালা

ভিনিসিয়ুসের ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভাই’ দিবালা

ফুটবলে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল যেন উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু। সাফল্যে একে–অপরকে ছাড়িয়ে যেতে দুই দলের লড়াইটাও বহু পুরোনো। বিশ্বজুড়ে দুই দলের সমর্থকেরাও যেন ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচ্যগ্র মেদিনী’। কেউ কাউকে এক বিন্দু ছাড় দিতে নারাজ। কিন্তু দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যকার সম্পর্ক কিন্তু অতটা বৈরী নয়। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বন্দ্বের চেয়ে সৌহার্দ্যই যেন অনেক বেশি।

আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় দুই আইকন লিওনেল মেসি ও নেইমারের সম্পর্ককেও এখানে বিবেচনায় নেওয়া যায়। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের এ দুই তারকার মধ্যে বন্ধুত্ব খুবই দারুণ। বার্সেলোনায় খেলার সময় থেকেই জমে ওঠে দুজনের মধ্যকার বন্ধুত্ব। কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারের পর মেসিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিলেন নেইমার। এমনকি মেসির বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজি যাওয়ার পেছনেও নাকি কলকাঠি নেড়েছিলেন নেইমার।

শুধু এ দুজনের মধ্যেই নয়, এবার বন্ধুত্ব ও ভাতৃত্বের দারুণ এক নিদর্শন দেখালেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস এবং আর্জেন্টাইন তারকা পাওলো দিবালা। সম্প্রতি ভিনিসিয়ুসের স্বাক্ষরিত একটি জার্সির ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করেছেন দিবালা।

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে পরা নিজের ২০ নম্বর জার্সিটিতে ভিনি দিবালার উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আমার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নস ভাইকে ভালোবাসাসহ।’ দিবালা এই পোস্ট দেওয়ার কিছু সময় পর ভিনি সেই স্টোরিতে নিজের ভালোবাসার পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানান। যেখানে সাদা রঙের হৃদয়ের ইমোজি দিয়ে ভিনি লিখেছেন, ‘এল ক্র্যাক’ (তারকা খেলোয়াড়)।

গত বছরের জুন থেকে মূলত ভিনি ও দিবালার গভীর বন্ধুত্বের শুরু। মায়ামিতে একসঙ্গে ছুটিও কাটিয়েছেন এই দুই লাতিন তারকা। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের শহরটিতে তাঁরা একটি ম্যাচও খেলেছেন। দুই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনিও এবং রবার্তো কার্লোসের আয়োজনে একটি চ্যারিটি ম্যাচে অংশ নেন তাঁরা। সেই ম্যাচে একই দলের হয়ে খেলেন এই দুই তরুণ ফুটবলার।