আবাহনীর কোচ হয়ে বাংলাদেশে ফিরেছেন আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি
আবাহনীর কোচ হয়ে বাংলাদেশে ফিরেছেন আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি

আবাহনীতে ফিরেছেন অনুতপ্ত ক্রুসিয়ানি

রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মাঠে নানা কাণ্ড করে কোচেরা শাস্তি পান। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক আর্জেন্টাইন কোচ ডিয়েগো আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানিকেও তেমন শাস্তি পেতে হয়েছিল। এক বছর আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সাইফ স্পোর্টিংয়ের কোচ হিসেবে তাঁকে ১ লাখ টাকা জরিমানাসহ ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাফুফে।

ক্রুসিয়ানির বিপক্ষে অভিযোগ ছিল গুরুতর। গত বছর ২৬ জুলাই গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে উত্তর বারিধারার বিপক্ষে রেফারির একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সহকারী রেফারির সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ‘মাথা গরম’ এই কোচ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি চতুর্থ রেফারিকে মাথা দিয়ে আঘাত করেছেন এবং প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন। সেই ঘটনায় ক্রুসিয়ানি এখন অনুতপ্ত।

ঢাকা আবাহনীর কোচ হিসেবে পরশু ঢাকায় ফিরে কাল প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে বাংলাদেশে নিজের দুঃস্মৃতি মনে করতে গিয়ে তিনি বারবারই ওই ঘটনা সামনে এনেছেন। প্রায় অন্ধকার নেমে আসা আবাহনী মাঠে বসে এই প্রতিবেদকের কাছে অকপট স্বীকারোক্তি, ‘গত বছর আগস্টে বাফুফে যে আমাকে ছয় মাস নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, সেটা সঠিক সিদ্ধান্তই ছিল। গোপালগঞ্জের ওই ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। খুবই বাজে কাজ করেছি আমি।’

সাইফ স্পোর্টিংয়ের কোচ থাকাকালে রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণ করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ক্রুসিয়ানি

অবশ্য চতুর্থ রেফারিকে শারীরিকভাবে আঘাতের অভিযোগে এখনো তাঁর আপত্তি, ‘ঘটনা হলো, একটা ফাউলের দাবি করেছিলাম আমি। কিন্তু রেফারি দেননি। ক্ষুব্ধ হয়ে সহকারী রেফারিকে আমি ছোট্ট একটা ধাক্বা মারি। আর একটু বাজে কথা বলি। তবে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করিনি।’ পরক্ষণেই অবশ্য তাঁর উপলব্ধি, ‘সে সময় শেখ জামাল আমাকে কোচ হিসেবে প্রায় পাকা করে ফেলেছিল, কিন্তু আমি শাস্তি পাওয়ায় তা আর করতে পারিনি। এতে ক্ষতিই হয়েছিল আমার। কোচ এবং ফুটবলারদের এমনটা করা উচিত নয়।’

এর আগে ২০০৬ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে রেফারির দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন ক্রুসিয়ানি। সেই ঘটনা নিয়েও তিনি অনুতপ্ত, ‘ওটাও একটা বাজে ঘটনা আমার ক্যারিয়ারে। সেবারও আমি রেফারিকে মারিনি, তবে ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। গোলশূন্য ম্যাচে ৫-৬ মিনিট অতিরিক্ত সময় দিতে পারতেন রেফারি। না দেওয়াতেই অমন কাণ্ড করি।’

বাংলাদেশ জাতীয় দলকেও কোচিং করিয়েছেন ক্রুসিয়ানি

অন্য ঘটনাটি ঢাকা আবাহনীর কোচ হিসেবে তাঁর প্রথম মেয়াদে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম পেশাদার লিগে খুলনা আবাহনীর কাছে তাঁর দলের হারের পরের ঘটনা মনে করে ক্রুসিয়ানি বলেছেন, ‘সেদিন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সমর্থকেরা আমার ওপর তীব্র ক্ষোভ দেখায়। আমার আনা তিন বিদেশির দুজন ভালো খেলতে পারেনি। সমর্থকেরা সঠিকই ছিল। সেই ঘটনায় আমি সম্ভবত ৬-৭ মাস আগেই চলে যাই। যদিও আবাহনী চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।’