ফাউলের বাঁশি হোক বা কার্ড প্রদর্শন, রেফারি সিদ্ধান্ত দিতেই চারপাশ থেকে খেলোয়াড় এসে তাঁকে ঘিরে ধরার দৃশ্য ফুটবলে নিয়মিতই দেখা যায়। কখনো কখনো সিদ্ধান্ত বিরুদ্ধে যাওয়া দলের সব খেলোয়াড়ই রেফারির দিকে ছুটে যান, রেফারিকে দেন মানসিক চাপ। এ ধরনের পরিস্থিতি নিয়ে রেফারিরা অসন্তোষ জানিয়ে আসছেন অনেক আগে থেকেই।
এবার স্প্যানিশ রেফারিদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, লা লিগায় খেলার মধ্যে রেফারিকে ঘিরে ধরার সুযোগ দেওয়া হবে না। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে পারবেন শুধু অধিনায়ক। কেউ নিয়ম না মানলে হলুদ কার্ড দেখানো হবে।
লা লিগার সিদ্ধান্তটি অবশ্য নতুন কিছু নয়। জুন–জুলাইয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপেই এই নিয়মের বাস্তবায়ন করেছে উয়েফা। গত সপ্তাহে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানান, প্যারিস অলিম্পিকে রেফারিরা নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা শুধু অধিনায়ককেই দেবেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার একই নিয়ম চালু হতে যাচ্ছে ১৫ আগস্ট শুরু হতে যাওয়া লা লিগায়।
মার্কার খবরে বলা হয়, লা লিগায় রেফারির সিদ্ধান্তে নাখোশ হওয়া দলের পক্ষ থেকে শুধু অধিনায়কই রেফারিকে জিজ্ঞেস করতে পারবেন। কোনো দলের নেতৃত্বের বাহুবন্ধনী যদি গোলকিপারের হাতে থাকে, তিনি রেফারির সঙ্গে কথা বলার জন্য একজনকে মনোনীত করবেন। নিয়ম লঙ্ঘন করে অন্য খেলোয়াড়েরা এসে রেফারিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করলে হলুদ কার্ড দেখানোর সুযোগ থাকবে।
ইউরোতে এই নিয়ম চালুর আগে উয়েফার রেফারিং–বিষয়ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবার্তো রোসেত্তি বলেছিলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচে একজন রেফারিকে ২০০ থেকে ২৫০টি সিদ্ধান্ত নিতে হবে, মানে প্রতি ২২ সেকেন্ডে একটা। এর মধ্যে বিতর্কিত পরিস্থিতি থাকে, চাপের পরিস্থিতি থাকে। বিষয়গুলো বিশ্লেষক আর দর্শকেরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে থাকেন। এখন রেফারি তাঁর একটা সিদ্ধান্ত ২২ জনকে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। এতে যোগাযোগের সমস্যা হয়। দেখতেও বিশ্রী লাগে। আমরা চাই, রেফারির সঙ্গে যোগাযোগ শুধু অধিনায়কই করবেন। তিনিই নিশ্চিত করবেন যাতে অন্যরা এসে ভিড় না করে।’