ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন, বিদ্রোহী টুর্নামেন্ট হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ইউরোপিয়ান সুপার লিগ এবং এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ক্লাব বা খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করা ‘বেআইনি’। আদালতের এই রায়ের পর সুপার লিগের প্রোমোটাররা ঘোষণা দিয়েছে, ৬৪টি দল নিয়ে তারা নতুন টুর্নামেন্ট আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে। এর আগে ১২ ক্লাব নিয়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল তাদের।
২০২১ সালে প্রথম সুপার লিগ আয়োজনের চেষ্টা করা হয়েছিল। সেবার ব্যর্থ হওয়ার পর ২০২২ সালের শেষের দিকে এ২২ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানই মূলত সুপার লিগের প্রোমোটার।
সুপার লিগে খেলা দলগুলোর ক্ষেত্রে উত্তরণ আর অবনমনের নিয়ম থাকবে। আর ইউনিফাই নামে নতুন একটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে খেলাগুলো বিনা মূল্য দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন এ২২–এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বার্নড রাইখার্ট। সুপার লিগ নিষিদ্ধ করা বেআইনি—আদালত এই রায় দেওয়ার পর রেইচার্ট এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘ফুটবল মুক্ত। উয়েফার একাধিপত্য থেকে মুক্ত। এখন নিষেধাজ্ঞার ভয় না করে সেরা পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা যাবে।’
৬৪টি দল তিনটি ভিন্ন স্তরের লিগে খেলবে। শীর্ষ লিগ, যেটার নাম দেওয়া হয়েছে স্টার লিগ, সেখানে দুই ভাগে ভাগ হয়ে ১৬টি দল খেলবে। দ্বিতীয় স্তরের গোল্ড লিগে একইভাবে দুই ভাগে ভাগ হয়ে খেলবে ১৬টি দল। আর তৃতীয় স্তরের ব্লু লিগে দল থাকবে ৩২টি। এরা চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে।
রাইখার্ট বলেছেন, ‘এখানে দলগুলো অংশ নেবে মাঠের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে। স্থায়ী কোনো সদস্য থাকবে না আর ক্লাবগুলো ঘরোয়া লিগেও খেলবে।’ প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী নকআউট পর্বে ওঠার আগে প্রতিটি ক্লাব ১৪টি করে ম্যাচ খেলবে। ইউরোপের অন্য ক্লাবগুলোও ‘অন্তত ৪০ কোটি ইউরো’পাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে এ২২। যেটা উয়েফার বর্তমান বরাদ্দের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। টুর্নামেন্টের সব খেলা হবে সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে, এখন যে সময়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ আর উয়েফার অন্য লিগগুলোর খেলা হয়। ৩২ দলের মেয়েদের টুর্নামেন্ট আয়োজনেরও পরিকল্পনা করছে এ২২।