চলতি বছরে লিগে এখনো হারেনি আর্সেনাল। ওয়েস্ট হাম, লিভারপুল, নটিংহাম ফরেস্ট ও ক্রিস্টাল প্যালেস—এই চার দলের বিপক্ষে খেলেছে তারা। এ দলগুলোর জালে গানাররা দিয়েছে ১৬ গোল।
এমন ছন্দে থাকা একটা দলের সামনে পড়েছে বার্নলি। যারা এই মৌসুমে লিগে ঘরের মাঠে ১২ ম্যাচ খেলে নিতে পেরেছে মাত্র ৫ পয়েন্ট, যা লিগে সবচেয়ে কম। আজ ঘরের মাঠ টার্ফ মুরে এই রেকর্ডটা আরও খারাপ হলো বার্নলির। তাদের জালে আর্সেনাল বল পাঠিয়েছে ৫ বার।
তাতে ২০২৪ সালে লিগে আর্সেনালের গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ থেকে ২১-এ। আর্সেনালের হয়ে ২টি গোল করেছেন বুকায়ো সাকা। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে জোড়া গোল পেলেন তিনি। এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার ২ নম্বরে উঠে এসেছে আর্সেনাল।
নিজেদের ইতিহাসে এই প্রথমবার বছরের প্রথম ৫ ম্যাচেই জিতেছে আর্সেনাল। এবারের আগে ১৯৩৫ সালে বছরের প্রথম চার ম্যাচে জিতেছিল আর্সেনাল। এ নিয়ে চলতি বছরে তিনবার ৫ বা এর চেয়ে বেশি গোল দিয়ে জিতল আর্সেনাল, যা ২০১৮ সালের পর প্রথম। গত প্রিমিয়ার লিগে পুরো মৌসুমেই ৫ বা এর চেয়ে বেশি গোলের ম্যাচ ছিল মাত্র ২টি।
জয়ের পথে আজ আর্সেনালকে গোল পেতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ৪ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির পাস থেকে বা পায়ের শটে দুর্দান্ত ১ গোল করেন মার্টিন ওডেগার্ড। ডেকলান রাইসের কাছ থেকে পাওয়া বল মার্তিনেল্লি দেন ওডেগার্ডের পায়ে। ডি বক্সের বাইরে ওডেগার্ড বলটি পেয়ে যান ফাঁকা জায়গায়। সময়, সুযোগ দুটোই ছিল ওডেগার্ডের।
ম্যাচের দ্বিতীয় ও তৃতীয় গোল আসে সাকার কাছ থেকে। ম্যাচের ৪১ মিনিটে সাকা প্রথম গোলটি করেন পেনাল্টি থেকে। বিরতির পর ৪৭ মিনিটে অধিনায়ক ওডেগার্ডের বাড়ানো বলে ডান পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন সাকা। ম্যাচটি কার্যত সেখানেই শেষ হয়ে যায়। সর্বশেষ ৬ ম্যাচে সাকার এটি সপ্তম গোল। এরপর আর্সেনাল বার্নলির জালে বল জড়িয়েছে আরও দুবার। ৬৬ মিনিটে গোল করেন লিয়ান্দ্রো ট্রোসার আর ৭৮ মিনিটে কাই হাভার্টজ।