দর্শনীয় এক গোলে অভিষেক রাঙিয়েছেন জুড বেলিংহাম। কার্লো আনচেলত্তির নতুন ফরমেশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে গোল পেয়েছেন রদ্রিগোও। লা লিগার নতুন মৌসুমে পরশু রাতে নিজেদের প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ তখন রীতিমতো উড়ছিল।
অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে বিরতি পর্যন্তও সব ঠিকঠাক চলছিল রিয়ালের। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় আনচেলত্তির দল। বিলবাওয়ের এক খেলোয়াড়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে গিয়ে হাঁটুতে চোট পান এদের মিলিতাও। ব্যথায় কাতর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ফিজিওর কাঁধে ভর দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন। তাঁর বদলি নামেন আন্তোনিও রুডিগার।
প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে যাওয়া রিয়াল শেষ পর্যন্ত ব্যবধানটা ধরে রেখে ম্যাচ জিতলেও মিলিতাওয়ের সেই কান্নার মুহূর্ত বড় শঙ্কার ছবিই তুলে ধরেছে।
এর আগে অনুশীলন করতে গিয়ে যে বাঁ পায়ের হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে প্রধান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার। এ মৌসুমে কোর্তোয়ার ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। স্কোয়াডে অবশিষ্ট থাকা একমাত্র গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিনকে দিয়েই আপাতত কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন আনচেলত্তি।
গত মাসে হাঁটুতে চোট পেয়েছেন নবাগত আর্দা গুলেরও। কোর্তোয়ার মতো ‘তুর্কি মেসি’খ্যাত গুলেরকেও চিকিৎসকের ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হচ্ছে। এখন মিলিতাওয়ের চোট আনচেলত্তির কপালে নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক ‘মার্কা’ জানিয়েছে, মিলিতাওয়ের চোট কতটা গুরুতর, তা স্ক্যান রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে। তবে ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি এটুকু জানিয়ে রেখেছেন, খালি চোখে মিলিতাওয়ের অবস্থা তাঁর কাছে খুব ভালো ঠেকছে না, ‘আমার ধারণা, ওর হাঁটু মচকে গেছে। দেখে খুব একটা ভালো মনে হচ্ছে না। পরীক্ষার পর আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে। আমাদের আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।’
কোর্তোয়ার মতো মিলিতাওয়েরও হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে কি না, এমন প্রশ্নে আনচেলত্তির উত্তর, ‘কোনো কিছুই উড়িয়ে দিচ্ছি না। আমরা বেশ শঙ্কিত। তবে আশা করছি গুরুতর কিছু হবে না।’