বেচারা নেইমার! চোটের কবল থেকে কিছুতেই মুক্তি মিলছে না তাঁর। এক বছর পর মাঠে ফিরেছিলেন গত ২২ অক্টোবর। আল হিলালের হয়ে একটা ম্যাচে বদলি নেমেছিলেন কিছুক্ষণের জন্য। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের পর গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচেই আবার চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ৩২ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে।
তবে নেইমারের আশা, এটা গুরুতর কিছু নয়। তিনি জানতেন, চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার পর এ রকম একটু-আধটু সমস্যা হতেই পারে।
হাঁটুর লিগামেন্টের চোট কাটিয়ে ফেরার পর নেইমার প্রথম ম্যাচটা খেলেছিলেন এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে আল আইনের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে অবশ্য বেশিক্ষণ মাঠে ছিলেন না, শেষ ১৩ মিনিট তাঁকে সুযোগ দিয়েছিলেন আল হিলাল কোচ জর্জে জেসুস। নেইমারও চেয়েছিলেন ধীরে ধীরে মাঠে উপস্থিতির সময় বাড়াতে।
গতকাল এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে ইরানি ক্লাব এস্তেগলালের বিপক্ষে ৫৮ মিনিটে নেইমারকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান আল হিলাল কোচ জর্জে জেসুস। ম্যাচে তখন আল হিলাল ২-০ গোলে এগিয়ে। নামার পর নেইমার দারুণ কয়েকটা পাস দেন, একবার পেয়ে যান গোলের সুযোগও। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। ঝামেলা বাধে কিছুক্ষণ পরই। ডান পায়ের পেশিতে অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন। খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৮৬ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে হয় তাঁকে। ডাগআউটে বসে নিজের ওপর খুব বিরক্তি প্রকাশ করতেও দেখা যায় তাঁকে।
তখন থেকেই শঙ্কা জেগেছিল, আবারও কি তাহলে লম্বা সময়ের জন্য বাইরে চলে গেলেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড? পরে নিজের ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে নেইমার আশার কথাই শুনিয়েছেন। লিখেছেন, ‘আশা করি, গুরুতর কিছু নয়...এক বছর বাইরে থাকার পর এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। চিকিৎসকেরা এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমাকে সতর্ক করেছিলেন। তাই সাবধান থেকে আরও বেশি সময় খেলতে হবে আমাকে।’
এমনিতে অবশ্য কিছুদিনের বিশ্রাম পেতেন নেইমার। চোটের কারণে স্কোয়াডে না থাকায় তাঁকে সৌদি প্রো লিগে এই মৌসুমে নিবন্ধন করায়নি আল হিলাল। ফলে তিনি খেলবেন শুধু এএফপি চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচগুলোতে। যে টুর্নামেন্টে আল হিলালের পরের ম্যাচ আগামী ২৬ নভেম্বর, কাতারের ক্লাব আল সাদের বিপক্ষে।
দীর্ঘদিন চোটে বাইরে থাকায় এই মাসে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচেও তাঁকে দলে রাখেননি ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। এই সময়টা হয়তো নেইমারের এবারের চোট থেকে পুনর্বাসনপ্রক্রিয়াতেই যাবে।