আন্তর্জাতিক বিরতির পর প্রথম ম্যাচ বার্সেলোনার ভালো খেলতে না পারার বদনাম আছে। গতকাল রাতে রিয়াল বেতিসের বিপক্ষেও ছিল একই ভয়। কিন্তু সেই ভয় উড়িয়ে দিয়েছে জাভি হার্নান্দেজের দল। বেতিসকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বার্সা। বার্সার জয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে গ্রীষ্মের দলবদলে যোগ দেওয়া জোয়াও ফেলিক্স।
দলের হয়ে গোলের খাতা খোলার পাশাপাশি তাঁর সামগ্রিক পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। জাভির কৌশল এবং লা লিগার ম্যাচের মান নিয়ে বিরক্ত রবার্ট লেভানডফস্কিও এই ম্যাচে দারুণ খেলেছেন। এক গোল করার সঙ্গে আরও দুটি গোলে অ্যাসিস্টও করেছেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। বার্সার হয়ে অন্য গোল করেছেন ফেরান তোরেস, রাফিনিয়া ও জোয়াও কানসেলো।
এই জয়ে সাময়িকভাবে লা লিগার টেবিলের শীর্ষেও উঠে এসেছে বার্সা। ৫ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্র নিয়ে বার্সার পয়েন্ট এখন ১৩। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালের পয়েন্ট ৪ ম্যাচে ৪ জয়ে ১২। আজ রাতে রিয়ালের প্রতিপক্ষ সোসিয়েদাদ। এই ম্যাচে জিতলে আবার শীর্ষে উঠে আসবে কার্লো আনচেলত্তির দল।
গতকাল স্তাদিও অলিম্পিক লুইস স্টেডিয়ামে ম্যাচজুড়ে দাপট ছিল বার্সার। ৬৬ শতাংশ বলের দখল রেখে তাদের নেওয়া ১৭ শটের ৯টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্য দিকে বেতিস ১১ শট নিলেও লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে মাত্র ২টি। ম্যাচে বার্সার এগিয়ে যেতে সময় লাগে ২৫ মিনিট। বক্সের ভেতর বল পেয়ে গোলরক্ষককে কাটিয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ফেলিক্স। পরের গোলটিতেও ছিল ফেলিক্সের অবদান। আন্দ্রে ক্রিস্টিনসেনের বাড়ানো বল ফেলিক্স অসাধারণভাবে ডামি করে ছেড়ে দেন। পরে সেই বলকে জালে পাঠান লেভা। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বার্সা।
বিরতির পরও বার্সার পারফরম্যান্স ছিল দাপুটে। ফ্রি কিক থেকে ৬২ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন তোরেস। ৬৪ মিনিটে তোরেসের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রাফিনিয়া। মাঠে নামার দুই মিনিটের মধ্যে লক্ষ্যভেদ করেন এই ব্রাজিলিয়ান। বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শটে ব্যবধান ৪-০ করেন রাফিনিয়া। ৮১ মিনিটে স্কোর শিটে নাম লেখান দলবদলে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে আসা জোয়াও কানসেলো। এই গোলেই শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলের জয় পায় বার্সা।
দারুণ এ জয়ের পর বার্সার হয়ে প্রথম গোল পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বসিত ফেলিক্স বলেছেন, ‘যেভাবে শুরু হয়েছে, তাতে দারুণ খুশি। বার্সার এই দলের সঙ্গে খেলা খুবই সহজ। আমরা সবাই ভালো খেলেছি। আপনার দলের গঠন ভালো হলে বলও খুব দ্রুত আগায়, জায়গা তৈরি হয় এবং গোলও আসে। আত্মবিশ্বাসের জন্য স্ট্রাইকারদের গোল পাওয়া জরুরি। যত গোল করবেন, ততই ভালো হবেন। আমি নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’